কৃষি মন্ত্রণালয় দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও ভোগের সঠিক পরিসংখ্যান না দেওয়ার কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রবিবার(২৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজের জ্বালায় আমি অস্থির হয়ে পড়েছি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ২৬ লাখ মেট্রিক টন। বছরে আমাদের প্রয়োজন ২৪ থেকে ২৫ লাখ টন মেট্রিক টন। যদি এই হয়, তাহলে আমদানি কেন? এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক।’এক্ষেত্রে পচনশীল পণ্য বলে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২০ শতাংশ নষ্ট হয় বলেও উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দেয় না অভিযোগ করে তার একটি উদাহরণ তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গত বছর কৃষি মন্ত্রণালয় হিসাব দিল- আমাদের দেশে ১ কোটি ৫ লাখ টনের মতো আলু উৎপাদন হবে। আর আমরা ৭০-৭৫ লাখ টন আলু খাই। কিন্তু গত বছরের বাজারের চিত্র কিন্তু সেটা বলে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর আলুর দাম ৪০ টাকায় ঠেকলো। কোল্ডস্টোরেজ থেকে মজুত করা আলু বের হতে হতে আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হয়ে গেল। অথচ আলু এক্সপোর্টও হলো না। তার মানে হিসাবে একটা গণ্ডগোল রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে- হয় আলুর উৎপাদন কম হয়েছে, না হয় আলুর চাহিদা আরও বেশি। আসলে পণ্যের মজুত ও চাহিদা সম্পর্কে কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দেয় না।
দৈনিক বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেন্স। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।