ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৫:৫২ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদাবাজির সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের এক নিরাপত্তাকর্মী হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। অভিযুক্ত ঐ নিরাপত্তাকর্মীর নাম নুর আলম।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হাকিম চত্বরে চাঁদা নেয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর হাতে ধরা পড়েন নুর আলম। এসময় তিনি ভ্রাম্যমাণ দোকানদার আরিফের কাছ থেকে চাঁদা বাবদ ২০০ টাকা নিচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসের হাকিম চত্বরের রাস্তার পাশে অনেকদিন ধরেই অবৈধভাবে আচারের দোকান চালাচ্ছেন আরিফ। এই স্থানে বসার জন্য চাঁদা বাবদ তিনি প্রতিদিন নুর আলমকে টাকা দেন বলে জানা গেছে। গতকালের চাঁদা হিসেবে নুর আলমকে ২০০ টাকা দেন আরিফ। তবে আরও বেশি টাকার দাবি করেন নুর আলম। টাকা নিয়ে দুজনের তর্কের সময় শিক্ষার্থীরা তাদের সরাসরি ধরে ফেলেন। এ সময় নুর আলমের হাতে আরিফের দেওয়া ২টি ১শ টাকার নোট ছিল।
এ বিষয়ে নুর আলম বলেন, ‘আমি টাকা নেইনি। উনি নিজ থেকে আমাকে চা-নাস্তা খাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন। উনি টাকা দিলে আমার কী করার আছে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, হাকিম চত্বরে আরিফের পাশাপাশি ওজর মাপার যন্ত্র, ফুচকা ও ফুলের দোকান নিয়ে আরও কয়েকজন বসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান বসার কোনো অনুমতি নেই।
ফুলের দোকান নিয়ে রাস্তার পাশে বসেছেন সমতাজ বেগম। কার থেকে অনুমতি নিয়ে দোকান বসানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নাম বলেন। সৈকতের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তার জানা নেই। ওই মহিলা মিথ্যা কথা বলছে।
এদিকে সৈকতের সাথে যোগাযোগের পর কথার সুর পাল্টান সমতাজ। সৈকতের সাথে চলাফেরা করেন কোকড়া চুলের একজনের কথা বলেন। তবে তার নাম বা পরিচয় দিতে পারেননি তিনি। একই সাথে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত বলেও বারবার উল্লেখ করেন।
এর পাশেই ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে বসেছেন মোস্তফা। তারও এখানে বসার কোনো অনুমতি নেই। তবে চাঁদা দিয়ে নিয়মিতই এখানে বসেন তিনি।
জানতে চাইলে গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক নাসিরউদ্দীন মুন্সী বলেন, ‘আমি লাইব্রেরিতে এসেছি। বিষয়টি দেখছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। টিএসসিতে অবৈধ দোকানগুলোর পেছনে পায়রা চত্বরের নিরাপত্তাকর্মীদের হাত থাকতে পারে।’