সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িতদের সমর্থন ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি বিরোধিতা করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলকে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল একাডেমিক ভবনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল শনিবার সকাল ১০টার বাসে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পরে তিনি বিভাগের একটি মিটিংয়ে অংশ নেন। এদিকে তার আসার খবরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তিনি বিভাগে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীরা বিভাগটির সভাপতিসহ কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে তাকে ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলেন। বিভাগের সভাপতি দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় চাইলে শিক্ষার্থীরা এতে অস্বীকৃত জানান। পরে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ওই অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে ক্যাম্পাস থেকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুল প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন। ওই সময় তিনি আন্দোলনকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে করা মিছিলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং মিছিলে ‘আর নয় হেলা ফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা’ স্লোগান দেন। সেসময় ওই অধ্যাপক আন্দোলনকে প্রতিহত ও প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, গত ২ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে ইবিতে আন্দোলন শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সরকার পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তবে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নানাবিধ সমস্যা ও হুমকীর সম্মুখীন হন শিক্ষার্থীরা। এসময় বাকী বিল্লাহ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা না করে বরং আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। আন্দোলনের সময় গ্রেফতারকৃত প্রায় ত্রিশ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করতে ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে কোন সহযোগিতা করেননি। বরং তাকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভও করেননি।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালীন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যহারের নাটক মঞ্চস্থ করার সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং আন্দোলনের শুরু থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে লেখালেখি করতে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।