ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঁশের বেড়ার নিরাপত্তা!

তাজফিহা উখরোজ তুবা

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ০২:৫৩ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঁশের বেড়ার নিরাপত্তা!

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে গেলেই চোখে পড়ে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করা বেশ খানিকটা জায়গা। সেখানে বাঁশের গায়ে আবার একটি নোটিশও টাঙানো। ভেতরের গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ, তাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ! কিন্তু কে শোনে কার কথা। বাস্তবের চিত্র পুরোপুরি উল্টো। নিরাপত্তার জন্য দেওয়া বাঁশে এখন লোকজন বসে আড্ডা দেয়! আর ভেতরে? সেখানে দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসেছে চায়ের দোকানের! একদিকে দায়সারা বাঁশের বেড়া, অন্যদিকে রমরমা দোকানদারি জন নিরাপত্তায় ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে। এ বিষয়ে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা নানা সমালোচনা করছেন। কিন্তু সেই সমালোচনা কর্তৃপক্ষের টনক নড়াতে পারে না।

যে কারণে এই বাঁশ বেস্টনী

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জুড়েই রয়েছে অসংখ্য বর্ষীয়সী গাছ। অতীতে এগুলোর কিছু গাছ ভেঙে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনাও ঘটেছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর টিএসসিতে ঝড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে পড়ে শফিকুল ইসলাম নামের এক রিকশাচালক মারা যান। এ ছাড়াও আরও দুইজন শিক্ষার্থী আহত হন। এসব বিষয় চিন্তা করে দুর্ঘটনা এড়াতে টিএসসির কিছু জায়গায় বাঁশ দিয়ে বেষ্টনি দেওয়া হয়েছে। এর ভেতর সাধারণ জনগণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আশেপাশের চায়ের দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বোঝার উপায় নেই যে নিরাপত্তা বেষ্টনী

নিরাপত্তা সংক্রান্ত এসব নিষেধাজ্ঞা মানছে না কেউই। বেস্টনী ঘিরে নিয়মিতই বসছে চায়ের আড্ডা, বাঁশ টপকে অনেকেই ঢুকে পড়ছে নিষিদ্ধ এসব জায়গায়। পুরোদমেই চলছে চা-বিস্কুটের বেচা-কেনা। কয়েকদিন আগেই যে দুর্ঘটনা ঘটে গেছে, তা নিয়ে কারোর নেই সামান্য ভ্রুক্ষেপও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাকসুদুর রহমান এ বিষয়ে দ্য রিপোর্টকে জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় দুর্ঘটনারোধে বাঁশ দিয়ে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সবার সচেতনতা জরুরি। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সামনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি কালচারের প্রধান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.মিহির লাল সাহা দ্য রিপোর্টকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষী একটি ক্যাম্পাস। এখানে অনেক পুরোনো গাছ রয়েছে। যে গাছগুলো সম্পূর্ণ কেটে ফেলা সম্ভব নয়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলোকে পরিষ্কার করা হয় নিয়মিত।

তবে যে কোন দুর্ঘটনা এড়াতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সচেতনতার দিকেই নজর দিলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাওসিফ ইসলাম বলেন, টিএসসিতে দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। কিছু বাঁশ ভেঙে নিচে পড়ে রয়েছে!

Link copied!