গাজীপুর সাফারী পার্ক থেকে ‘বিপন্ন বন্যপ্রাণী লেমু’ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম

গাজীপুর সাফারী পার্ক থেকে ‘বিপন্ন বন্যপ্রাণী লেমু’ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

বিশ্বব্যাপী বিপন্ন প্রজাতির উদ্ধারকৃত লেমু। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সাফারী পার্ক থেকে বিশ্বব্যাপী বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী তিনটি রিংটেইল লেমুর চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডিবি। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন ২২ বছরের মোঃ দেলোয়ার হোসেন তওসীফ।

গতকাল শুক্রবার জামালপুর জেলার সদর থানাধীন দড়িহামিপুর আকন্দ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত আনুমানিক ১১টায় ঢাকার শ্যামবাজারে অভিযান পরিচালনা করে চুরি হওয়া একটি পুরুষ রিংটেইল লেমুর উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ডিবি-সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে রাত আনুমানিক ১১টা হতে ২৪ মার্চ ২০২৫ তারিখ ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার মধ্যে গাজীপুর সাফারী পার্কের লামচিতা ঘর-০১ নামক বেষ্টনীর জাল কেটে বিশ্বব্যাপী বিপন্ন প্রজাতির দুটি পুরুষ রিংটেইল লেমুর ও একটি স্ত্রী রিংটেইল লেমুর চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

ডিবি-সূত্রে আরও জানা যায়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিপন্ন প্রজাতির লেমুর চুরির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত আরম্ভ করে। অতঃপর সরকারি অন্যান্য দপ্তরের তথ্য-উপাত্তের সহযোগিতায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল ২০২৫) জামালপুর জেলার সদর থানাধীন দড়িহামিপুর আকন্দ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে লেমুর চুরির ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ দেলোয়ার হোসেন তওসীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং অন্যান্য প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে ঢাকার সদরঘাটের শ্যামবাজার মসজিদ সংলগ্ন একটি নির্জনস্থান হতে খাঁচাবন্দি অবস্থায় রাত আনুমানিক ১১টায় পুরুষ রিংটেইল লেমুরটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার বিষয়ে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটকে অবগত করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। বাকি দুটি লেমুর উদ্ধার ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Link copied!