ছবি: সংগৃহীত
দুই প্রজন্মের নায়িকা বলা হয় তাকে—ঠিকই ধরেছেন, কথা হচ্ছে ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমাকে নিয়ে। নব্বই দশকের শেষ দিকে ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করা এই নায়িকা আড়াই যুগ পরেও যেন একইরকম রয়ে গেছেন। বয়স বাড়লেও তার রূপে যেন সময় থমকে আছে!
সিনেমায় এখন আর আগের মতো নিয়মিত নন পূর্ণিমা। তবে ওয়েব কনটেন্ট ও শোবিজের নানা অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায় মাঝেমধ্যেই। পাশাপাশি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। তার ব্যক্তিজীবন সবসময়ই থেকেছে বিতর্কের বাইরে—সচেতনভাবে পরিপাটি ও সম্মানজনকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন তিনি।
সম্প্রতি পূর্ণিমা নতুন এক লুকে ধরা দিলেন ফেসবুকে। খুবই সাধারণ সাজ—হালকা নীল সালোয়ার আর সাদা ওড়নায় নিজেকে তুলে ধরেছেন একাধিক ছবিতে, সঙ্গে পরিচিত সেই মিষ্টি হাসি।
আর এখানেই শুরু নেটিজেনদের আফসোস। এক জন কমেন্ট করেছেন, “ছোট থেকে দেখে আসছি আপনাকে, একইরকম। আমরা বুড়ি হয়ে যাচ্ছি, আপনি সেই বয়সেই পড়ে আছেন।” আরেকজনের মন্তব্য, “ছোটবেলার ক্রাশ, এখনও কত সুন্দর আপনি।” কেউ আবার বলেছেন, “সিম্পলের ওপর সুন্দর লাগছে।”
২০০৩ সালে ‘মনের মাঝে তুমি’ এবং ২০০৬ সালে ‘হৃদয়ের কথা’—এই দুই ছবির মাধ্যমে পূর্ণিমা পেয়েছিলেন তারকা খ্যাতির শিখরে পৌঁছানোর সুযোগ। তখন থেকেই তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলা ছবির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পুর্ণিমাকে নিয়ে নেই কোনো সমালোচনা কিংবা বাড়তি কথা। সামাজিক মাধ্যমে রয়েছে তার অসংখ্য অনুসারী। নিয়মিত তাদের কাছে নিজেকে ধরা দেন, ভক্তরাও নায়িকাকে ভরিয়ে দেন ভালোবাসায়। বিশেষ করে তার অপরিবর্তিত রূপের প্রশংসা করেন ভক্তরা, বয়স ধরে রাখা নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন, কেউ কেউ আবার আফসোসও করেন।
বর্তমানে পর্দায় খুব একটা না থাকলেও পূর্ণিমার সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব আর জনপ্রিয়তা ঠিকই আলোচনায় রাখছে তাকে। তাই তো ভক্তরা বলে থাকেন—পূর্ণিমাকে দেখলেই মনে হয়, সময় যেন তার জন্য সত্যিই থেমে গেছে!