ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০১:৫৫ পিএম
চীনসহ বিভিন্ন দেশে করোনা রোগী বাড়ছে। ইতিমধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ধরন শনাক্ত হয়েছে। বিএফ–৭ নামের এ নতুন ধরন ওমিক্রনের চেয়েও চার গুণ বেশি সংক্রামক বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে হাসপাতাল প্রস্তুত রাখাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে অমিক্রনের নতুন ধরন বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। ধরনটি অমিক্রনের চেয়ে শক্তিশালী। যেটিতে চীনেই ২৫ কোটির মতো মানুষ আক্রান্ত হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতেও এটির বিস্তার ঘটছে। তবে এটি কতটা ভয়ংকর সে ব্যাপারে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং যারা এখনো ভ্যাকসিনের বাইরে তাদের কিছুটা শঙ্কা আছে। এ জন্য যারা এখনো টিকা নেননি, দ্রুত তাদের টিকা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ শুরু হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সবারই এটি নেওয়া উচিত।’
টিকার মেয়াদ নিয়ে দ্বিধার কোনো সুযোগ নেই বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তার সুযোগ নেই। টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটি সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম ও করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক প্রমুখ।