ডায়েবেটিস রোগীদের চিনি, মিষ্টি বা এ-জাতীয় খাবার খাওয়া নিষেধ করে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে স্বাদে মিষ্টতা থাকায় আম-কাঁঠালও কি খেতে পারবেন না ডায়েবেটিসের রোগীরা? অনেকের মনেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ডায়েবেটিসের রোগীদেরকে চিকিৎসকরা শর্তসাপেক্ষে দিয়েছেন আম খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। ভাত-রুটি খাওয়া বাদ দিয়ে অথবা ৪০ মিনিটের বদলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা দৌঁড়ানোর শর্তে আম খেতে পারবেন তারা।
বেশ কিছুদিন আগে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর একটি লেখায় ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি জানান, আমে যেহেতু প্রচুর শর্করা ও ক্যালরি থাকে, তাই যাদের ওজন বেশি আর ডায়াবেটিস (বহুমূত্র বা মধুমেয়) আছে, তারা সারা দিনে মাঝারি আকারের একটি আম খেতে পারবেন। ভাত-রুটি বাদ দিতে হবে। অথবা ৪০ মিনিটের বদলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা হাঁটতে হবে।
আমে কোনও খারাপ চর্বি কিংবা ক্ষতিকর লবণ নেই। ১০০ গ্রাম একটি আমে ৭৯-৮২ গ্রাম ক্যালরি পাওয়া যায়। এছাড়া একটি আমে ৭৫-৮৫ শতাংশ পানি থাকে। জুসের চেয়ে তাজা আম খাওয়া বেশি উপকারী। আমে আঁশও থাকে। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কিন্তু মাঝারি মাত্রার। এটি নির্ভর করে আমের জাতের ওপর। যে আমে আঁশ বা ফাইবার বেশি, তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম।
কাঁচা আমও দারুণ উপকারী। কাঁচা আমে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি বাইল অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়ায়। দেহে নতুন রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।
আম খাওয়ার অনুমতি মিললেও কাঁঠাল খাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দেননি চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০’র মধ্যে কাঁঠালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ, অর্থাৎ কাঁঠালে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি মাত্রার।
কাঁঠালে প্রচুর ফাইবার আছে, যা শর্করার মাত্রা বাড়াতে বাধা দেয়। কিন্তু ডায়েবেটিসের রোগী ইচ্ছানুযায়ী কাঁঠাল খেতে পারবেন না। কারণ এটা মিষ্টি ফল। সারা দিনে ৩-৪টি কোয়া, অর্থাৎ ৫০ গ্রাম খেতে পারবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ওই দিন অন্য আর কোনো মিষ্টি ফল খাবেন না।