জুন ২১, ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। ভবন ও আবাসিক হলগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা এবং চলমান নিরাপত্তা সংকটের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদের আগামী রবিবার, ২২ জুন দুপুরের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কলেজের হাসপাতালের সকল কার্যক্রম যথারীতি চলবে।
শনিবার জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকের পর কলেজ প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত বর্তমান পরিস্থিতি সমাধানের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। তবে পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাদের দাবি, কলেজের একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলগুলো সংস্কার করা হোক, কারণ এগুলো বসবাস এবং শিক্ষার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
গত ২৮ মে থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের `কে-৮২` ব্যাচ সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে সিনিয়র ব্যাচের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়। এমনকি তারা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানও বর্জন করে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ফজলে রাব্বি হলের তৃতীয় তলার ওয়াশরুম এবং ছাদের প্লাস্টার প্রায়ই খসে পড়ে। বেশিরভাগ জানালার কাচ ভাঙা, এবং একবার ঝড়ের সময় একটি জানালার গ্রিল খুলে পড়ে একজন শিক্ষার্থী আহত হন। তৃতীয় তলার অনেক কক্ষ বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গত ৬ জুন শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতিতে জানান, ফজলে রাব্বি হল, গার্লস হোস্টেল ও কলেজের বেশ কয়েকটি ভবন এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ সাত মাস আগে ফজলে রাব্বি হলকে পরিত্যক্ত ও বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করলেও এখনও শিক্ষার্থীরা সেখানে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন।
শিক্ষার্থীরা সতর্ক করেন, অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে যেকোনো সময় রানা প্লাজা ধস বা জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে, তা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য এক গভীর লজ্জার কারণ হবে।