বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৩, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনা অভিযানে পাহাড়ি সংগঠন কেএনএফ বা বম পার্টির সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কমান্ডারসহ দুইজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এসএমজি, ১টি রাইফেলসহ আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু জানান, ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুমা সেনা জোনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন সেনা কর্মকর্তারা।

রুমা থানা ওসি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, “পলি প্রাংসা এলাকায় সেনাবাহিনীর কয়েকটি দল বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনী এবং কেএনএ’র মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে এলাকায় তল্লাশি করার পর সেখানে দুইজনের লাশ পাওয়া যায়।

“ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের মধ্যে কেএনএ কমান্ডারও রয়েছে। লাশ পড়ে আছে শুনলাম। ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই। খবর পাওয়ার সাথে সেনাবাহিনীর দুইটি দল এবং পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে।”

তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত জানার সুযোগ নাই বলে জানান ওসি সোহরাওয়ার্দী।

পাহাড়িরা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে চেনে ‘বম পার্টি’নামে। সংগঠনটি ‘কুকি-চিন রাজ্য’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চায়; যেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা থাকবে না; থাকবে বম, খিয়াং, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোরা।

কেএনএফ ও কেএনএ’র বিরুদ্ধে অভিযানের মুখে বিভিন্ন সময় বম সম্প্রদায়ের প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি ভারতের মিজোরাম ও বনজঙ্গলে আশ্রয় নেন। বমদের সামাজিক সংগঠন বম সোশাল কাউন্সিল ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় সম্প্রতি তারা ভিটেমাটিতে ফিরতে শুরু করেছেন। বম সোশাল কাউন্সিল বলছে, তিনশ পরিবার এলাকায় ফিরে খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে।

Link copied!