লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বৃহস্পতিবার ( ২৩ নভেম্বর ) ইসরায়েলে হামলা জোরদার করেছে। ইরান–সমর্থিত এই গোষ্ঠী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এসব হামলা চালিয়েছে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় এই দক্ষিণাঞ্চলেই ইসরায়েলি বোমা হামলায় সাত হিজবুল্লাহ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় ২০টির বেশি হামলা চালিয়েছে। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি হামলা চালানো হয়েছে এইন জেইতিমের সামরিক ঘাঁটিতে। সেখানে ৪৮টি কাতিউশা রকেট ছোড়ার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সাফেদ শহরের কাছে ঘাঁটিটির অবস্থান। সীমান্ত থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইসরায়েলে হামলার জবাবে তারা হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে হিজবুল্লাহর অবকাঠামোগুলোতে হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর রকেট উৎক্ষেপণকেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালানো হয়েছে।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী গোলা হামলা চালিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর থেকে লেবানন ও ইসরায়েল সীমান্তে গোলাগুলি বাড়তে দেখা গেছে। এসব সংঘর্ষের ঘটনা বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হামাস ও হিজবুল্লাহকে সমর্থন দিয়ে থাকে ইরান। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিও সমর্থন জানিয়েছিল দেশটি। তবে ইরানের দাবি, এ ঘটনায় তারা সরাসরি জড়িত নয়।
এএফপির হিসাব অনুসারে, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত লেবাননে অন্তত ১০৯ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই হিজবুল্লাহর সদস্য। এ ছাড়াও ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৩ জন সাংবাদিকও আছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, হিজবুল্লাহর হামলায় তাদের ছয় সেনা ও তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।