থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি আলোচনায় বসতে রাজি, জানালেন ট্রাম্প

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি আলোচনায় বসতে রাজি, জানালেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে অবিলম্বে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন। প্রতিবেশী দেশ দুটি সীমান্তে তিন দিন ধরে লড়াইলে লিপ্ত থাকার পর ট্রাম্প শান্তি আনতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে একটি অস্ত্রবিরতি করতে সম্মত আছে কিন্তু কম্বোডিয়ার দিক থেকেও আন্তরিকতা দেখতে চায়।”

রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের ধারাবাহিক কয়েকটি পোস্টে সাড়া দিয়ে ফুমথাম এক ফেইসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন। স্কটল্যান্ড সফরে থাকা ট্রাম্প নিজের পোস্টগুলোতে জানান, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন আর তাদের এই বলে সতর্ক করেছেন যে, সীমান্ত সংঘাত অব্যাহত থাকলে তিনি তাদের কারও সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবেন না।

একের পর এক পোস্টে ট্রাম্প তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ক্রমিক বর্ণনা দেওয়ার এক পর্যায়ে লিখেন, “উভয়পক্ষই অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি ও শান্তি চায়।”

ফুমথাম বলেছেন, “থাইল্যান্ড যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি দ্বিপাক্ষিক সংলাপ আহ্বান করতে চায় যাতে যুদ্ধবিরতির জন্য ব্যবস্থা এবং পদ্ধতি প্রণয়ণ করা যায় এবং সংঘাতের চূড়ান্ত শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।”

থাইল্যান্ডের এই মনোভাব কম্বোডিয়াকে জানানোর জন্য ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন ফুমথাম।

জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার এই সীমান্ত সংঘাতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি এই সংঘাতে ‘মর্মান্তিক ও শোচনীয়’ প্রাণহানির নিন্দা জানিয়েছেন।

“তিনি উভয়পক্ষকে অবিলম্বে একটি অস্ত্র বিরতিতে রাজি হতে এবং যেকোনো সমস্যা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন,” বিবৃতিতে বলেছেন হক।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া অস্ত্রবিরতি করতে রাজি হয়েছে, ট্রাম্প এমনটি জানালেও এ নিয়ে আলোচনা কবে, কোথায়, কখন শুরু হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

আলোচনার স্থান ও সময় নিয়ে রয়টার্সের প্রশ্নে হোয়াইট হাউজ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি আর ওয়াশিংটনে অবস্থিত থাই ও কম্বোডীয় দূতাবাসও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

ট্রাম্প এই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলার আগেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়ায় আরও আরও বিস্তৃত হয়। ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বিরোধ চলে আসছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়েছে দেশ দুটি আর এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন নিহত এবং এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

Link copied!