করোনা মহামারী থেকে চীন সবচেয়ে বেশি লাভবান: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৪, ২০২১, ০৭:২৬ পিএম

করোনা মহামারী থেকে চীন সবচেয়ে বেশি লাভবান: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের ফলে ভাইরাসটির জন্মস্থান চীনই সবচেয়ে বেশি লাভ করেছে। এরচেয়ে বেশি লাভ অন্য কোনও দেশই করতে পারেনি। ভারতের কৌশলগত বিশেষজ্ঞ এবং চীন বিশ্লেষক ড. ব্রহ্ম চেলানি করোনাভাইরাস ও চীন বিষয়ে এ মন্তব্য করেছেন। এছাড়া করোনা পরবর্তী চীনের পণ্য রফতানির গতি এখনও বেশ ভালোই আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ড. ব্রহ্ম চেলানি এক টুইটে লিখেছেন, এই মহামারী থেকে করোনা ভাইরাসের জন্মস্থান চীনের চেয়ে বেশি লাভ অন্য কোনও দেশই করতে পারেনি। দেশটির করোনা পরবর্তী রফতানির গতি এখনও ভালোই আছে। দেশটির অফিশিয়াল তথ্য বলছে জুনে এর রফতানি ডলারের হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শতকরা ৩২.২ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মে মাসে শতকরা ২৭.৯ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়ার চেয়েও যেটা বেশি।

মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্ব যত বিপর্যস্ত হচ্ছে, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ব্যবসা তত রমরমা হয়। বিদেশে পিপিই সহ স্বাস্থ্য সরঞ্জাম এবং ইলেকট্রনিক্সের জিনিস সরবরাহ করছে চীন। কারণ, করোনার ফলে সব দেশেই এই সব জিনিসের চাহিদা বহুগুণে বেড়েছে।

গতবছরের নভেম্বরেই চীনের রপ্তানি ২১ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়। গত তিন বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ফলে চীনের অর্থনীতির কাছে করোনা এখন নতুন সুযোগ এনে দেয়। সব মিলিয়ে আমদানি বেড়েছে সাড়ে চার শতাংশ, বৈদেশিক বাণিজ্য বেড়েছে ১৩ দশমিক ছয় শতাংশ। ট্রেড সারপ্লাস সাত হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। ১৯৮১ সালের পর থেকে এতটা লাভ কখনো হয়নি।

২০২১১ সালের জুনে দেশটির রফতানি ডলারের হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শতকরা ৩২.২ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মে মাসে শতকরা ২৭.৯ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়ার চেয়েও যেটা বেশি

বিশ্বের সব দেশই এখনো করোনার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত। চীনের এই বাণিজ্যিক রমরমার কারণ, সব দেশেই মাস্ক, পিপিই, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। সেই সব জিনিস সরবরাহ করছে চীন। অধিকাংশ দেশেই মানুষ এখন ঘরবন্দি। তাই ইলেকট্রনিক্স জিনিসের চাহিদা অনেক বেড়েছে। ফলে চীনা কোম্পানিগুলির রমরমা। আর এই কোম্পানিগুলি সরকারের কাছ থেকে করোনার পরে প্রচুর অর্থ ঋণ হিসাবে পেয়েছে। ফলে তাদের ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হয়েছে।

এর ফলে চীনের অর্থনীতি এ বার দুই শতাংশের বেশি বৃদ্ধি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি সব দেশের অর্থনীতিতে বৃদ্ধি যখন নেতিবাচক, তখন চীন সেখানে ব্যতিক্রম হয়ে থাকবে।

তবে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক এ বার কী দাঁড়াবে তা পরিষ্কার নয়। ডনাল্ড ট্রাম্প চীন-বিরোধী নীতি নিয়ে চলেছিলেন। বাইডেন এসে সেই নীতি খুব বেশি বদলায়নি।

সূত্র: এপি, রয়টার্স।

Link copied!