অধ্যাপক তাহের হত্যা: মঙ্গলবার রাতেই হতে পারে দুই আসামির ফাঁসি

আদালত প্রতিবেদক

জুলাই ২৫, ২০২৩, ০২:০৩ পিএম

অধ্যাপক তাহের হত্যা: মঙ্গলবার রাতেই হতে পারে দুই আসামির ফাঁসি

সংগৃহীত ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দুই আসামির সবশেষ আবেদন খারিজ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন ফলে যেকোনো সময় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকলো না।

এদিকে, অধ্যাপক তাহের আহমেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির স্বজনদের সাক্ষাতের জন্য ডেকেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলকার(২৫ জুলাই) রাতেই ফাঁসি কার্যকর হতে পারে। রাজশাহী কারাগারে এ জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে। 

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক তাহের আহমেদ ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ পরের দিনই তাঁর মরদেহ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।

পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন। 

তবে আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন। ইতোমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আসামিদের স্বীকারোক্তি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হত্যার এ ষড়যন্ত্রে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনই মুখ্য ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমাদের এটি বলতে দ্বিধা নেই যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন শুধুমাত্র প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেতেই ড. তাহেরকে এ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। তার ধারণা ছিল ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হিসেবে তার পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব না। আমাদের এটি বলতে দ্বিধা নেই যে, আপিলকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং আবেদনকারী আব্দুস সালাম ও নাজমুল আর্থিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য অধ্যাপক তাহেরকে হত্যা করতে ড. মহিউদ্দিনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন।

Link copied!