দেশে গত ১০ মাসে ২ হাজার ৫৭৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ১৩টি জাতীয় দৈনিকের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
শনিবার আন্তর্জাতিক নারী সহিংসতা নির্মূল দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ১০ মাসে ৩৯৭ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ১১৫ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ জনকে এবং ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন।
গত ১০ মাসে হত্যা করা হয়েছে ৪৩৩ জনকে, রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ২৩১ জনের, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১১ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ২০৭ জন, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন, বাল্যবিয়ে হয়েছে ২১টি, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৬১টি। যৌতুকের জন্য ৪৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ৩৮ জন নারী।
সংবাদ সম্মেলনে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা উদ্বেগজনক উল্লেখ করে মহিলা পরিষদের সভাপতি ফৌজিয়া মোসলেম এ সমস্যার সমাধানে কাউন্সেলিং পরিষেবার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ এবং যৌতুক বিরোধী আইন বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
ধর্ষকের সঙ্গে ভিক্টিমের বিয়ে ঠেকানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনে এই ধরনের বিয়েকে সমাধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। তাছাড়া এতে ভিকটিমদের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে এবং তাদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। নারীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের কাজ অনাকাঙ্ক্ষিত।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু ও আইনগত সহায়তা বিষয়ক সম্পাদক রেখা সাহা।