বাইরে তালা : ভেতরে দখলকৃত জায়গায় চলছে ভবন নির্মাণের কাজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৫, ২০২৩, ০১:৪৩ এএম

বাইরে তালা : ভেতরে দখলকৃত জায়গায় চলছে ভবন নির্মাণের কাজ

সিদ্দিকবাজারের দূর্ঘটনার পরপরই অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা উপেক্ষা এবং বিল্ডিং কোড না মেনে ভবনগুলো চিহ্নিত করার তাগিদ এসেছে। কিন্তু রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উদাসীনতার কারণে পুরান ঢাকার অশেপাশেই চলছে যত্রতত্র ভবন নির্মাণের কাজ।

কেমন আছে পুরান ঢাকাবাসী— জানতে সম্প্রতি নাজিমউদ্দিন রোডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো নানা অনিয়মের চিত্র। চকবজারের একটি গলিতে গিয়ে দেখা গেল ১১২ নং হোল্ডিং এর ভেতর থেকে রড কাটার শব্দ ভেসে আসছে। মূল ঘটনা জানতে পাশের আরেকটি ভবনের ছাদে গিয়ে দেখা গেলো ১১২ নং হোল্ডিংটি বাহিরে চারপাশ ঘেরাও করে ভেতরে ভবন নির্মাণের কাজ করছিলো কিছু শ্রমিক। অথচ বাইরে নীল রঙের একটি তালা ঝুলছে।

আরও দেখা যায়, নতুন ভবন নির্মাণে অন্যর বাড়ি দেয়ালে লাগিয়ে কলাম গাঁথুনি করছে ১১২ নং হোল্ডিংয়ের মালিক। তবে ঢাকায় গৃহ র্নিমাণ করতে রাজউক থেকে নকশা ও ডিজাইন পাশ করতে হয় এবং সেখানে জায়গার পরিমাণ ও পারস্পারিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে একজন  অফিসার নকশা অনুমোদন করতে হয়। যে কতটুকু অলো বাতাস চলাচলসহ নিরাপত্তা জনিত কারণে চার ফিট বা প্রয়োজনে অধিক জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মাণের অনুমতি দেন। তবে ১১২ নং নাজিমউদ্দিন রোডের সেই ভবন নির্মাণে মানা হয়নি তেমন কিছুই।

বিষয়টি রাজউকের সুনজরে আনতে গুলিস্থান রাজউক ভবনে সংশ্লিষ্ট এলাকার অথরাইজড অফিসার রংঙ্গন মণ্ডল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে রাজউকের একটি পর্যবেক্ষক দল সেখানে গিয়েছে। আমরা আরও কয়েকদফা পর্যবেক্ষণ করবো। যদি সব কিছুর সুরাহা না হয় তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।

গত ৬ ই মার্চ ২০২৩ এ এই ভবনটি নিয়ে রাজউক কাছে লিখিত দিয়েছেন ওই এলাকারই আশেপাশের বাড়িওয়ালা। অভিযোগে লেখা ছিল যে মো. জমির উদ্দিন রিপন এবং তার ভাই মামুন কবির রানা নগর উন্নয়ন আইন ও ইমারত আইন নির্মাণ আইন ভঙ্গ করে হোল্ডিংয়ের কোন ছাড় না দিয়ে হোল্ডিংয়ের দক্ষিণ নিজের সীমানা দক্ষিণ দিকের সীমানা ঘেঁষে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে।

ভবনটিতে অন্যর ভবন লাগোয়া আরও নতুন তিনটি কলাম তোলা হয়েছে এরইমধ্যে। আশেপাশে খোঁজ নিয়ে জানা গেল মৃত হানিফ নামের এক ব্যক্তির দুই ছেলে জমির উদ্দিন রিপন ও মামুন কবির রানা বর্তমানে এর মালিক। তবে তাদের সম্পর্কে এর বেশি কেউ কথা বলতে রাজি নয়।

মামুন কবির রানার ব্যবহৃত দুইটি সিমে কথা বলতে কল দিলে একটি নম্বর বন্ধ ও অপরটিতে কল দিলে তিনি রং নম্বর বলে কেটে দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে দেন। 

Link copied!