মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় ‘সংকটে’ বাংলাদেশ

জাতীয় ডেস্ক

মে ২১, ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় ‘সংকটে’ বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ‘সংকটজনক’ শ্রেণিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বের ১৬১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮তম, স্কোর ১২। গত ১০ বছরে এই স্কোর কমেছে ৮ পয়েন্ট।

সংস্থাটির ‘বৈশ্বিক মতপ্রকাশ প্রতিবেদন-২০২৪’-এ উঠে এসেছে এই চিত্র। মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটি ‘বৈশ্বিক মতপ্রকাশ প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে আসছে। এবারের প্রতিবেদনটি আজ বিশ্ব জুড়ে একযোগে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে ২৫টি সূচক ব্যবহার করে ১৬১টি দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পরিমাপ করা হয়েছে। এসব সূচককে ছয়টি বড় ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সূচকগুলোর বিপরীতে ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত মতপ্রকাশ স্কোর নির্ধারণ করা হয়েছে। স্কোরের ভিত্তিতে ‘সংকটজনক’, ‘অতি বাধাগ্রস্ত’, ‘বাধাগ্রস্ত’, ‘স্বল্প বাধাগ্রস্ত’ ও ‘মুক্ত’- এই পাঁচটি শ্রেণিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের মতপ্রকাশ স্কোর বা জিআরএক্স স্কোর মাত্র ১২। ৫ বছর ধরেই বাংলাদেশের স্কোর ১১ ও ১২’র মধ্যে আটকে আছে। আর গত দুই যুগে বাংলাদেশের স্কোর কমেছে ৩২ পয়েন্ট। ২০০০ সালে মতপ্রকাশের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ‘বাধাগ্রস্ত’ শ্রেণিতে।

বৈশ্বিক অবস্থানে বাংলাদেশ ১২৮তম। ২০২২ সালে এই অবস্থান ছিল ১৩০তম। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের স্কোর আটকে আছে ১১ ও ১২-এর মধ্যে। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ নম্বরে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

আর্টিকেল নাইনটিনের এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪, যেটি মতপ্রকাশের শ্রেণিগত দিক থেকে ‘বাধাগ্রস্ত’ হিসেবে বিবেচিত। ‘বাধাগ্রস্ত’ থেকে ‘অতিবাধাগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবনমন হয় ২০০৬ সালে। পরের বছর আরও ১০ পয়েন্ট কমে স্কোর নেমে আসে ২৯ এ। এর পরের দুই বছর (২০০৮ ও ২০০৯ সালে) স্কোর ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৩৪-এ উন্নীত হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি পরবর্তী বছরগুলোতে। ২০১৪ সালে স্কোর ৪ পয়েন্ট কমে ১৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মতপ্রকাশের সংকটজনক শ্রেণিতে ঢুকে পড়ে। যা থেকে বাংলাদেশ এখনও উত্তরণ ঘটাতে পারেনি।

Link copied!