সেন্টমার্টিনগামী স্পিডবোট ডুবে সাবেক জনপ্রতিনিধির মৃত্যু

জাতীয় ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ০১:৫৮ এএম

সেন্টমার্টিনগামী স্পিডবোট ডুবে সাবেক জনপ্রতিনিধির মৃত্যু

কোস্টগার্ডের সদস্যরা নাফ নদীতে ভাসমানদের উদ্ধার করছে

ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোটডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এতে ফিরোজা বেগম (৫৫) নামে স্পিডবোটের এক যাত্রী মারা গেছেন। তিনি সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা আব্বাস আলীর স্ত্রী এবং ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সদস্য।
আজ শুক্রবার (২৯সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার এ ঘটনায় স্পিডবোটে থাকা ১৭ পর্যটকসহ বাকি ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান এবং সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওর্য়াডের সদস্য ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, ডাবল ইঞ্জিনের  স্পিডবোটটিতে ২২ জন যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে ১৭ জন পর্যটক ও ৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা। এ ছাড়া চালক ও তার সহকারীসহ মোট ২৪ জন ছিলেন।

খোরশেদ আলম জানান, ‘আজ দুপুরের দিকে টেকনাফ পৌরসভা এলাকার কায়ুকখালী ঘাট থেকে ডাবল ইঞ্জিনের স্পিডবোটটি সেন্টমার্টিনের দিকে রওনা দেয়। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের নাফনদীর ও বঙ্গোপসাগরের মোহনার নাইক্ষংদিয়ার টুরারমাথা (গোলগড়া) এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে স্পিডবোটটি তলা ফেটে পানিতে ডুবে যেতে থাকে। ওইসময় কোস্টগার্ডের একটি টহল দল এবং  যাত্রীবাহী আরেকটি স্পিডবোট এসে সব যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়’।
ফিরোজা বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সেন্টমার্টিনের ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্পিডবোটডুবির ঘটনায় ৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তারমধ্যে ফিরোজা মারা গেছেন। অপর দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সেন্টমার্টিনের ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাঈমুর রহমান।

Link copied!