হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে আরও ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন: শ্রমমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ১৮, ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে আরও ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন: শ্রমমন্ত্রী

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

দেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে আরও ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন বলে মনে করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফারুখ এলাহীর সভাপতিত্বে অর্গানন অব মেডিসিন প্রকাশনার শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ বিশ্ব স্বীকৃত। দেশে-বিদেশে এই বিজ্ঞানের উন্নয়নে নানা ধরনের গবেষণা চলছে। আমাদের দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে আরও ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় এরই মধ্যে হোমিওপ্যাথির মানোন্নয়নে মহান জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন। এই আইনকে কাজে লাগিয়ে সবাইকে মিলে হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।”

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

“বিশ্বের সব চিকিৎসকই হোমিওপ্যাথের সুবিধা বুঝে গেছেন”
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের সভাপতি ডা. শেখ ফারুক এলাহী বলেন, “এখন বিশ্বের সব চিকিৎসকই হোমিওপ্যাথের সুবিধা বুঝে গেছেন। এই পদ্ধতির ওষুধে চিকিৎসা করলে, চিকিৎসার টাইম ৪ ভাগের ১ ভাগ কমে যায়। যেটা আগে ১২ মাসে একটা রোগীর সময় লাগতো। এখন ৩ মাসে হয়ে যায়। (হোমিওপ্যাথিক) ওষুধের সাইডইফেক্ট একদম মিনিমাম থাকবে।”

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

তিনি আরও বলেন, “এই সুবিধার জন্য আমরা বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ সিক্সথ এডিশন অর্গাননেরই চর্চা করি এবং এটাকে বিকশিত এবং প্রসারিত করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করি।”

“এক ফোঁটা ওষুধেই রোগ সারানো যায়”
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম শহীদ উল্লাহ বলেন, “শুধু এক ফোঁটা ওষুধেই হোমিওপ্যাথিতে রোগ সারানো যায়। এটা দ্রুত রোগ সারানোর জন্য কার্যকর ওষুধ।”

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

অ্যালোপ্যাথি ওষুধের সঙ্গে হোমিওপ্যাথি খাওয়া যাবে না বলে লোকশ্রুতি আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখানে আমরা রোগকে ভাগ করি দুই ভাগে। একটা হলো অ্যাকুইট ডিজিস, আরেকটা হলো ক্রোনিক ডিজিস। আমাদের অ্যাকুইট ডিজিস, ক্রোনিক ডিজিস- অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে সেপারেট। এটা আমাদের মেয়াদের প্রশ্ন না। যদি মনে করেন, যে একটা রোগে আগের থেকেই তার হার্টের জন্য অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেতো, তার ডায়েবেটিস ছিল, সেটাও ওষুধ খেতো, এবং তার হাইপার টেনশন ছিল, সে ওষুধ খেতো। এখন এই লোকটা আমাশয় রোগ নিয়ে আসছে, আমরা আমাশয় নামক রোগটার চিকিৎসা দেবো। আমাশয় নামক রোগটার ওষুধ খেতে যদি সে হোমিওপ্যাথি খায়, আমরা এক্ষেত্রে কখনও অ্যালোপ্যাথি প্রেসক্রাইব করবো না।”

Link copied!