আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কর্মকর্তার নারী নির্যাতন-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচার হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী জানতে পেরে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
অভিযোগকারী একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার প্রাক্তন স্ত্রী। ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আগে একটি চাঞ্চল্যকর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন এবং বর্তমানে তিনি জেলে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার আগেই এ সম্পর্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবগত হয় এবং যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তবে অভিযোগকারী নারীর সামাজিক মর্যাদা ও ঘটনাটির সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে সেনাবাহিনী কর্তৃক যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করে সেনা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতিপূর্বে অভিযুক্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাটির প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ ছাড়া উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনী থেকে কোনো সদস্য বরখাস্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী তার চিকিৎসা, সরকারি বাসস্থান বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তার সন্তানের এসএসসি পরীক্ষা বিবেচনা করে পরিবারটিকে সাময়িকভাবে সরকারি বাসস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৈতিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ ধরনের নীতিভ্রষ্ট ও নীতিবিবর্জিত কার্যক্রমকে কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী তার সদস্যদের বিরুদ্ধে কৃত সব অভিযোগ যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে এবং অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়।