ফ্যাসিবাদের জায়গায় তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন: নজরুল ইসলাম খান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম

ফ্যাসিবাদের জায়গায় তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন: নজরুল ইসলাম খান

ছবি: সংগৃহীত

বাকশালের পরিবর্তে গণতন্ত্র এনেছিলেন জিয়াউর রহমান, সামরিক স্বৈরশাসনের গোরস্তানে গণতন্ত্র এনেছিলেন খালেদা জিয়া, আর ফ্যাসিবাদের জায়গায় তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদমাহফিলে এ কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল, তাদের ক্ষমতায় আসতে আবার বহু বছর লেগেছে। মুসলিম লীগ আসতে পারেনি, আওয়ামী লীগের লেগেছিল ২১ বছর। আর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি মাত্র ৯ বছরে আবার ক্ষমতায় এসেছিল। এই অর্জনের মূল কান্ডারি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। সামরিক স্বৈরশাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস তার হাত ধরেই রচিত হয়েছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।

ফ্যাসিবাদের জায়গায় তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন বলে মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ জিয়ার হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। বহু মানুষ ছেড়ে গেছে। কিন্তু দারুণ দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছিলেন খালেদা জিয়া। সামরিক স্বৈরশাসনের গোরস্তানে গণতন্ত্রের এনেছিলেন তিনি। ফ্যাসিবাদের জায়গায় গণতন্ত্রের সূচনা করবেন তারেক রহমান। তারা সেই শুভ দিনের প্রতীক্ষায় আছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যখন মানুষ সমালোচনা করত, তখনো জন্মদিন উদ্‌যাপনে উৎসাহ দেননি খালেদা জিয়া। কখনো খালেদা জিয়া জন্মদিন উদ্‌যাপন করা বা দাওয়াত দেওয়ার মতো কিছু করেননি। তাঁরা নিজেরা সেটা করেছেন। খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যত রক্ত ঝরুক, এখনো গণতন্ত্র হাতের নাগালের বাইরে। নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। কারও পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের ১৫ দিন পর দেখা করার সুযোগ ছিল। দেখেছি, তিনি কী রকম মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। আমরা বাইরে থেকে চেষ্টা করেছি তাকে সহযোগিতা করার। পারিনি, ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু আমরা তার দৃঢ় মনোবল দেখেছি। দেখেছি, পর্যায়ক্রমে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। বুঝতে পেরেছি তাকে তখন বোধ হয় খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দেওয়া হতো।’

কারাগারে খালেদা জিয়ার ওপর অত্যাচার, নিপীড়নের জন্য দায়ীদের প্রত্যেকের বিচারের দাবি জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা দেখেছি কারাগারে কারা কারা তাকে নির্যাতিত, নিপীড়ন করেছেন। সর্বশেষ যখন তার সঙ্গে দেখা হয়, তখন ওই কারাগার একবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। একটা পরিত্যক্ত এলাকায় পরিণত হয়েছিল। সেখানে খালেদা জিয়ার ঘরের মধ্যে ইঁদুর ও পোকামাকড় দৌড়াদৌড়ি করত।’ ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া প্রথমে নির্বাচনে যাবেন না বললেও পরে একটি দলের চাপ ও কর্মীদের কথা বিবেচনা করে নির্বাচনে গেছেন বলে জানান মির্জা আব্বাস।

বিএনপির আয়োজনে এই দোয়া ও মিলাদমাহফিল সঞ্চালনা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্যসচিব আবুল হোসেন।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিশেষ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

Link copied!