ভারতে প্রিজন ভ্যানে দুই কয়েদির বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রোহতক জেলায়। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভুক্তভোগী ওই নারী কয়েদিকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ। সাথে ছিলেন আরও দুই পুরুষ কয়েদি। চিকিৎসা শেষে ফেরার সময় ঘটে এই ঘটনা। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর দাবি, রোহতকের পিজিআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। যার ফলে পুলিশ ভ্যানে করেই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। ভ্যানে তার সঙ্গে ছিলেন আরও ২ পুরুষ কয়েদি।
চিকিৎসার পর ভ্যানে অপেক্ষা করছিলেন তারা। পুলিশ তখন ব্যস্ত ছিল চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দুই কয়েদি ঠান্ডা পানীয় খেতে দেয় নারীকে। এর পর অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। সেই সুযোগে গণধর্ষণ করা হয় তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণে অভিযুক্ত ওই দুই কয়েদির নাম মণীশ এবং সতীশ। দুজনেই ঝিন্দ জেলার বাসিন্দা। আর মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওই নারী। মানসিক অবসাদের শিকার তিনি। ফলে একাধিকবার জেলে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। বর্তমানে রোহতকের পিজিআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার।
এদিকে, সেই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও এই ঘটনা কবে ঘটেছে তার কোনও তারিখ এফআইআরে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।