ইলিশের গতিপথ ঠিক করতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১, ২০২১, ০৩:৫৮ এএম

ইলিশের গতিপথ ঠিক করতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা

প্রতিবছর আগস্ট মাসেই ইলিশ মাছের সরবারহ অপ্রত্যাশিতভাবে কক্সবাজারে প্রচুর ইলিশে ধরা পড়ায় প্রথাগত এলাকাগুলোতে ইলিশ ধরা পড়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে জেলেরা। নাব্যতা সংকটের কারনে ইলিশের এই সাময়িক গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। ইলিশের গতিপথ ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানায় তারা।

[youtube-video]https://www.youtube.com/watch?v=HJ4HXTecPn4[/youtube-video]
 

গতিপথ ঠিক করতে ড্রেজিং

আগস্ট মাসের শুরুতেই কক্সবাজার, চট্টগ্রামে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। কিন্তু জেলেরা পূর্ণিমায় ইলিশ পাওয়ার আশায় ছিল। ২২ শে আগস্ট পূর্ণিমা গেলেও ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেরাও পড়েছে বিপাকে। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, নদীর নাব্যতা সংকট গতিপথ বদলের মূল কারন। তবে এজন্য নদীতে ড্রেজিং করে মাছের গতিপথ ঠিক করার দরকার হয়। এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনের পাশাপাশি নদী তীরে শিল্প গড়ে ওঠাও অন্যতম কারন। তবে ইলিশ আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই পাওয়া যাবে।

ছোট ফাঁসের জালে মাছ ফিরে যাচ্ছে

নদ-নদীতে ইলিশ কম আসার কারণ সম্পর্কে জেলেরা বলছেন, নদীতে ইলিশের প্রবেশপথে ও সাগর মোহনায় অসাধু জেলেরা বেহুন্দি, চরগড়া, খুঁটাজাল, ভাসা জালের মতো ছোট ফাঁসের অবৈধ জাল পেতে ঘিরে রাখছেন। এসব জাল অনেকটা বেড়ার মতো। এসব জালে বাধা পেয়ে ইলিশ আবার সাগরে ফিরে যায়। অবৈধ এ জাল যেখানে পাতা হয়, সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই চর পড়ে যায়। ডুবোচর, সাগর থেকে নদীতে প্রবেশের মুখে বাধা, অবৈধ জাল আর উত্তরের ঢলে পলি–বর্জ্য থাকায় ইলিশ এবার গতিপথ পরিবর্তন করেছে বলে মনে করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।

সেপ্টেম্বরেই মিলবে ইলিশ

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আনিছুর বলেন, অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ার–ভাটার প্রাবল্য সৃষ্টি হয়। এতে ইলিশ মাছের চলাচল বেড়ে যাবে। তাই সামনের পূর্ণিমাতে খুব ভালো পরিমাণে আসবে।

৮ আগস্ট অমাবস্যা গেছে। এর ১৪ দিন পর ২২ আগস্ট পূর্ণিমা। পূর্ণিমার পরের সময় ইলিশের আধিক্য হবে। ইলিশ যে মিলবে এর লক্ষণ দেখা গেছে কক্সবাজারে। ছয় দিন ধরে কক্সবাজারের ফিসারিঘাটে প্রচুর ইলিশ আসছে।

কক্সবাজারে কেন এত ইলিশ

আনিছুর রহমান বলেন, ইলিশ একটি দল ধরে চলাচল করে। একদিকে চলতে থাকলে অন্যদিকে কেউ থাকে না। এটি অন্য মাছের মতো সব জায়গায় সব সময় থাকে না। কক্সবাজার উপকূলের পর মিরসরাই, নোয়াখালী, হাতিয়া, ভোলার চরফ্যাশনের পর পটুয়াখালীর দিকে আসতে পারে। এবার কক্সবাজার দিয়ে ইলিশের দল ঢুকেছে। প্রতিবার যে একই পথ দিয়ে আসবে, তা নয়। এমনও হয়েছে যে পটুয়াখালীর উপকূল দিয়েও ঢুকেছে।

পানির গতিবেগ বেশি না হলে উজান থেকে ইলিশ আসতে চায় না। এই গতিবেগে নদীর লবণাক্ততা কমে। ইলিশের আসার পথ সুগম হয়। এবার নাফ নদীসংলগ্ন অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তাই সে অঞ্চলে ইলিশ বেশি মিলেছে।

Link copied!