বঙ্গবাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া টিন বিক্রি ৪০ লাখে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৮, ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম

বঙ্গবাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া টিন বিক্রি ৪০ লাখে

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় পাঁচটি মার্কেট পুরোপুরিভাবে পুড়ে যায়। এসব মার্কেটের যেসব দোকান টিন ও লোহা দিয়ে তৈরি হয়েছিল পুড়ে যাওয়ার পর সেগুলো ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকায়।

বঙ্হবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মালিক সমিতি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সম্মিলিতভাবে বিক্রির ওই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি ৪০ লাখ টাকায় এসব ভাঙারি জিনিসপত্র কিনে নিয়েছেন। বলা হচ্ছে, টেন্ডারের মাধ্যমে তিনি এই ভাঙাড়ি কিনেছেন। তবে সেই টেন্ডার প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে, সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলেননি।

বঙ্গবাজারে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, মার্কেটের ধ্বংসাবশেষের সামনে ট্রাকে ভরে পোড়া টিন ও লোহা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে অবস্থিত মহানগর মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লোকমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, দোকান মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে ও সিটি করপোরেশনের অনুমোদনে মার্কেটের পোড়া টিন, লোহা ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এই টাকা কী করা হবে, তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, এই ৪০ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কল্যাণ তহবিলে যাবে। এ ছাড়া যারা ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে চান, সব এই কল্যাণ তহবিলে যাবে। এই টাকা অবশ্যই ব্যবসায়ীদের কল্যাণে যাবে। এটা নিয়ে কোনো ঝামেলা হবে কেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩, ১৯ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গবাজারের আগুনের ঘটনায় সব পুড়ে যাওয়ার পর যেসব ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ী সমিতি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্দেশে এই কাজ শুরু করা হয়েছে। যেসব ভাঙাচোরা জিনিস রয়েছে, তা টেন্ডারের মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এই টাকা ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজে লাগানো হবে।

তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের অন্ধকারে রেখে মাত্র ৪০ লাখ টাকায় ধ্বংসস্তূপ বিক্রি করা হয়েছে। চারটি মার্কেটের এসব লোহা, টিন, কলাপসিবল গেট পুড়ে গেলেও তা অন্তত দুই কোটি টাকার সম্পত্তি। ব্যবসায়ী নেতারা টেন্ডারের কথা বললেও কোথায়, কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় টেন্ডার হয়েছে, তা তারা জানেন না।

Link copied!