সময়মতো বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হয় বলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে না বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার স্পিকার শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই। আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক মজবুত। বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে না।
বিদেশ থেকে বাংলাদেশ যত ঋণ নেয়, তা ঠিকমতো পরিশোধ করে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “ বাংলাদেশ কখনো ডিফলডার হয়নি। করোনা মহামারিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। এর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জনবান্ধব বর্তমান সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি-জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকতে বিদেশ থেকে কোনো জিনিস কেনার সময় ১০ টাকার জিনিস ২০ টাকায় কিনে বাকি ১০ টাকা পকেটে ঢুকাতো। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার তা করে না। আমরা বরং দাম কমিয়ে আনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সরকারের কার্যক্রমের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বা নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করেছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা আরও বলেন, “ আমরা পায়রা পাওয়ার প্লান্ট আটমাস আগে উদ্বোধন করেছি। এতে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বেঁচে গেছে। আমরা প্রত্যেকটি কাজ আগে করি, কিছু টাকা বাঁচাই। কিছু কিছু জায়গায় কাজ হয়।