মিতু হত্যা মামলার বিচার শুরু, প্রথম জবানবন্দি দিলেন বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৯, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম

মিতু হত্যা মামলার বিচার শুরু, প্রথম জবানবন্দি দিলেন বাবা

সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুর চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর তাঁর স্বামীসহ সাত আসামির বিচার শুরু হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর মধ্য দিয়ে। মামলায় মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন সাক্ষী হিসেবে প্রথম জবানবন্দি দিয়েছেন।

রবিবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানিতে আছেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে আছেন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ।

আদালত বসার পর এদিন বাবুলের আইনজীবীরা জানান, তাঁরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করেছেন। সেই কারণ দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ ঈদের পরে শুরু করার জন্য সময় চান তারা। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।

এ বিষয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে দুই পক্ষ। শেষে আদালত সাক্ষ্য শুরুর আদেশ দিলে মোশাররফ হোসেন জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন।

গত ১৩ মার্চ এ আদালতই বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দেয়।

২০১৬ সালে মিতু নির্মমভাবে খুন হন। এরপর তাঁর স্বামী, সে সময়ের পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বাদি হয়ে ওই মামলা করেন। নানা নাটকীয়তা শেষে পিবিআইয়ের তদন্তে এখন তিনিই এ মামলার আসামি।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন: মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম।

কারাবন্দি বাবুলকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য রবিবার আদালতে হাজির করা হয়। হাজির করা হয় মুছা ও কালু ছাড়া বাকি চারজনকেও। কালু পলাতক, মুছা রয়েছেন নিখোঁজ। আসামিদের মধ্যে ভোলা জামিনে থাকা অবস্থায় আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসপি বাবুল তার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ছিলেন। বদলি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই ঘটনায় ব্যাপকভাবে আলোচনা শুরু হয় দেশে।

Link copied!