হাসপাতালে আ. লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ২৯, ২০২১, ০৫:৩৫ এএম

হাসপাতালে আ. লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ৯ কোটি টাকার টেন্ডার (এমএসআর) সিডিউল কেনায় গড়িমসিকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে (৪৮) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে সব চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্সসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের সামনে, শহরে এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কাল সোমবার বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ৯ কোটি টাকা মূল্যের (এমএসআর) সামগ্রী কেনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ৫ সেপ্টেম্বর দরপত্র আহ্বান করে। ওই দরপত্র বিক্রির স্থান ছিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়, নোয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা বেলা দুইটার দিকে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যান। সেখানে তাঁরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইশরাত সাদমীনকে ঘটনা অবহিত করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন  বলেন, তিনি দুপুরে এমএসআর দরপত্রের শিডিউল কিনতে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে যান। চালানের কপি দিয়ে শিডিউল নিতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, “শিডিউল নেই, শেষ হয়ে গেছে। আগেরগুলো আছে। নতুনগুলো তৈরি হয়নি, দিচ্ছি। স্টাফরা বলেন, দেওয়া যাবে না।”

তিনি জানান, এরই মধ্যে তৃতীয় একটি পক্ষ সিনক্রিয়েট করার জন্য তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তিনি তাদের চেনেন না। তাঁর সঙ্গে অন্য কোনো লোক সেখানে যাননি। হাসপাতালের এসব দরপত্র কারা এত দিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন, এটা সবাই জানেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.জাকির হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালের আরএমও সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে বলে শুনেছি। জরুরি বিভাগ ছাড়া হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!