১৪ লাখ দাম উঠার পর ‘ফরিদপুরের ডন’কে বিক্রি করতে হল ১০ লাখে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২৯, ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম

১৪ লাখ দাম উঠার পর ‘ফরিদপুরের ডন’কে বিক্রি করতে হল ১০ লাখে!

২৫ লাখ টাকা দাম হাকিয়ে সেই ‘ফরিদপুরের ডন’ কে ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে বিক্রি করা হয়েছে ১০ লাখেই। ৪০ মণ ওজনের গরু ‘ফরিদপুরের ডন’ স্থানীয় এলাকায় গরুটির এতদিন কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মিলছিল না। পরে গরুটিকে রাজধানীর সবচেয়ে বড় গরুর হাট গাবতলির পশুর হাটে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও কাঙ্খিত দাম মেলেনি গরুটির। এতে গরুটির মালিক রুবায়েত হোসেনঅনেকটা বাধ্য হয়ে  শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকাতেই তার গরুটি বিক্রি করে দিয়েছেন।

রুবায়েত গণমাধ্যমকে জানান, ঈদের আগেরদিন বুধবার (২৮ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গরুটি বিক্রি হয়। তবে ক্রেতার নাম তিনি জানাতে চাননি।

দুই বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকায় কিনে আনেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরেরকান্দি গ্রামের রুবায়েত হোসেন। ঘরের মধ্যে রেখেই গরুটিকে লালন-পালন করেন তিনি। এর মধ্যে একদিনও গরুটিকে ঘরের বাইরে আনেননি। জুন মাসের শুরুর দিকে ঘর ভেঙে বাইরে আনলে গরুটিকে দেখতে অনেক মানুষ রুবায়েতের বাড়িতে জড়ো হয়।

রুবায়েত বলেন, ‘ফরিদপুরের ডন’ উচ্চতায় ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং লম্বায় ১২ ফুট ২ ইঞ্চি। গরুটিকে তিনি গড়ে তুলেছেন সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে। নেপিয়ার সবুজ ঘাস চাষ করে তিনি নিজে গরুকে খাইয়েছেন। পাশাপাশি গরুটির প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ছোলা, ভুষি, কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর ও কলা ছিল।

এলাকায় গত এক মাসে অনেকেই গরুটিকে দেখতে এসেছেন। তাদের মধ্যে যারা ক্রেতা ছিল, তারা এর দাম বলেছেন ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। এর থেকে অনেক বেশি টাকা গরুটির পেছনে খরচ হয়েছে বলে দাবি করেন রুবায়েত।

গত ২২ জুন গরুটিকে একটি ট্রাকে করে ঢাকার গাবতলি হাটে আনেন রুবায়েত। হাটে তোলার পর অনেকেই দাম-দর করেছেন। সর্বোচ্চ ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছিল। রুবায়েত দাম চেয়েছিলেন ২৫ লাখ টাকা। ২০ লাখের নিচে বিক্রি করবেন না বলেই ইচ্ছে ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে দাম কমায় ১০ লাখে বিক্রি করতেই বাধ্য হয়েছেন তিনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এস আসজাদ বলেন, ‘ফরিদপুরের ডন’ জেলার হাতেগোনা বড় দুই একটি গরুর মধ্যে একটি। গরুটি ঢাকায় নেওয়ায় মালিক এর ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে আমরা আশাবাদী ছিলাম।

স্থানীয় মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আফছার উদ্দিন মাতুব্বর বলেন, গরুটিকে লালন-পালন করতে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করেছেন রুবায়েত।

Link copied!