‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ১০০ আবেদনেও লাভ হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১২, ২০২২, ০২:২৮ এএম

‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ১০০ আবেদনেও লাভ হবে না’

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন না মর্মে বেসরকারি হাসপাতালে গেলেন। সেখানে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসার জন্য ওষুধ নিয়ে এসে তাকে সুচিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি বেঁচে আছেন। এখন তার বিদেশে যাওয়ার কী দরকার? বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে ওনারা (বিএনপি) একবার নয়, ১০০ বার আবেদন করলেও কোনও লাভ হবে না। আইনে যা আছে তাই হবে। এর ব্যত্যয় হবে না।”

শুক্রবার বিকালে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের চারুয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা বলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছিলেন। তাকে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এক, তিনি বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেবেন; দুই বিদেশ যেতে পারবেন না। তিনি এই শর্তে মুক্ত হলেন। তিনি বাসায় গেলেন, থাকলেন। কারও সঙ্গে দেখা করলেন না। তারপর উনার করোনা হলো। তিনবার তিনি হাসপাতালে গেলেন। তাকে হাসপাতালে যেতে সরকার বাধা দেয়নি। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বেঁচে আছি। তিনিও বেঁচে আছেন। এখন বেগম খালেদা জিয়া  বিদেশে যাওয়ার কী দরকার? তবে ওনাকে যারা বিদেশে পাঠাতে চায়, তিনি বিদেশ গেলে তারা ষড়যন্ত্রে মাস্টার হবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষকে অপমান করে বিদেশে দাসত্ব গ্রহণ করে তারা শেখ হাসিনা সরকারকে হারাতে চায়। বাংলাদেশের জনগণ বেঁচে থাকতে সেটা কখনও হতে দেবে না। আর আইনের বাইরে তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা নিয়ে কিছু করা যাবে না।”

আনিসুল হক বলেন, “আমাদের উন্নয়নের একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা মোটেও খুশি না। আমরা প্রত্যেকেই যুদ্ধ দেখেছি। আমরা যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। আমরা যোদ্ধা। আমাদের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে ষড়যন্ত্র করে কোনও লাভ হবে না।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “তিনি আমেরিকায় চিঠি লিখেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি এত বড়লোক হয়ে যায় তোমাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না। তিনি একবারও বলেননি, এই সরকার আমলে বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট আছে। তিনি বলেছেন, আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা হবে। বিএনপির মহাসচিব হতে গেলেন কেন? তিনি আমেরিকা জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব হলেই পারতেন।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, কসবা পৌরসভার চেয়ারম্যান এম জি হাক্কানী, পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

Link copied!