‘তোরে বাড়িত তন ধরি আনি ক্রসফায়ার করিয়াম’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ০২:৫৪ এএম

‘তোরে বাড়িত তন ধরি আনি ক্রসফায়ার করিয়াম’

লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক কর্মীকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়েছেন নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেকের ভাতিজা আবদুল্লাহ আল মামুন রাব্বি। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এ সংক্রান্ত ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড প্রকাশ হয়েছে।

নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেক বাদল ভবানীগঞ্জে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। 

বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার কর্মী রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজিকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীর ভাতিজা আবদুল্লাহ আল মামুন রাব্বি। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রাব্ব রিয়াজকে ফোন করে হুমকি দেন। 

নৌকার প্রার্থীর লোকেরা অন্য প্রার্থীদের সমর্থকদেরও হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনে পাঁচজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শুক্রবার রাতে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেক বাদলের ভাতিজার নামও রয়েছে। 

নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেক বাদল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “নৌকার বিরুদ্ধে কীভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়, সেটা আমি জানি না। প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছেন।” 

সেই কল রেকর্ডে রাব্বিকে বলতে শোনা যায়, “এই মিজি (মিয়াজি) নিরে। মিজি, যদি আর একটা স্ট্যাটাস দেস নৌকার বিরুদ্ধে তাহলে তোরে বাড়িত তন ধরি আনি ক্রসফায়ার করিয়াম (করব)। নৌকার বিরুদ্ধে কোনো স্ট্যাটাস দিলে ডাইরেক্ট আঁকি হালাইয়াম, তুই যিয়ানেই থাস (থাকিস)। তুই বাড়িত নি হেডা ক। তুই নৌকার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিবিতো, তুই মহানগর যুবলীগ করসতো, যুবলীগের নাম বেচস কেন? তুই বিএনপির লগে লিয়াজু করে আওয়ামী লীগের পেস্টুন (ফেস্টুন) ভাঙ্গস, এগিন মাইনসে জানে না? বিএনপির লগে লিয়াজু করে যুবলীগের নাম বেচস। মারি হালাইয়াম, ডাইরেক্ট মারি হালাইয়াম। তোর বাবা হালিম মাস্টাররে হবে ওয়াপদা অফিসে নাম ধরি কইছি।”

অভিযোগ অস্বীকার আবদুল্লাহ রাব্বি বলেন, ‘হুমকিতো দূরের কথা, আমি কাউকে কল দিই নাই। আর কেনইবা হুমকি দেব। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কল রেকর্ডিং আমার না। আমার মোবাইল থেকে অন্য কেউও রিয়াজকে কল দেয়নি। রিয়াজ মামলা করুক, সমস্যা নেই।’ 

এসব বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ ধরনের একটি অডিও আমি শুনেছি। ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

Link copied!