দায়িত্ব পালনে বিচ্যুতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই কর্মকর্তা অপসারণ: ওবায়দুল কাদের

জাতীয় ডেস্ক

মে ২৯, ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম

দায়িত্ব পালনে বিচ্যুতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই কর্মকর্তা অপসারণ: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ফটো

দায়িত্ব পালনে কোনো বিচ্যুতির কারণেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দুই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। সে বিষয়ে

তিনি বলেন “আপনারা কি আগে রিপোর্ট করেছিলেন? সেটা এখন পাচ্ছেন আপনারা।”

পদচুত্যু দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ আছে কি না সেটা আমি জানি না। নিশ্চয়ই তাদের কর্তব্যে কোনো প্রকার বিচ্যুতি ঘটেছে। তবে সেটি কী রকম আমি জানি না।”

সম্প্রতি বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন প্রয়োজন শেষ বিধায় বেনজীর ও আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।


এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনার প্রশ্নটা সঠিক হয়নি। তারা বলছে বেনজীর, আজিজ আহমেদরা আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। আমি জানতে চাই, আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদা, কহিনূর, এরা কাদের সৃষ্টি?”

“আমি জানতে চাই, দুর্নীতি লুটপাটের হাওয়া ভবন এটা কার সৃষ্টি? এসব প্রশ্নের জবাব চাই। তারা প্রশ্ন করেছে, আমিও পাল্টা প্রশ্ন করছি, রকিবুল হুদা সাবেক আইজিপি ছিলেন, চট্টগ্রামে ২৪ জানুয়ারি আমাদের নেত্রীর সভায় তাকে টার্গেট করে গুলি করা হয়েছিল, হামলা করা হয়েছিল। তারা কি এসবের বিচার করেছে?” বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, “বেনজীর আওয়ামী লীগ আমলে আমাদের আইজিপি ছিলেন। এখন তার ব্যাপারটা...এখন এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ব্যক্তির জন্য আমরা তো একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করতে পারি না। ব্যাপারটা যখন প্রকাশ্যে এসেছে তখন দুদক তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে নিশ্চয়ই মামলা করবে। যে যতটা অপরাধ, অপকর্ম করেছে তাকে ততটা শাস্তি পেতে হবে। বিএনপির আমলে তাদের কোনো নেতা, সরকারি কোনো কর্মকর্তা, পুলিশের সাবেক কোন কর্মকর্তা অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন? শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে, সে কারণে তিনি দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।”

“যখনই যেটা প্রকাশ পাচ্ছে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সেই করোনার সময় ফেক হসপিটাল করে যারা অপকর্ম করেছিল তাদের কিন্তু আমাদের নেত্রী ক্ষমা করেননি। এখনও অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি পেতেই হবে, এখানে কোনো ছাড় নেই,” যোগ করেন তিনি।

 

Link copied!