মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে ইন্টারনেটের কিছু প্যাকেজের দাম শুক্রবারের (১০ নভেম্বর) মধ্যে কমানোর নির্দেশনা দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ নিয়ে পরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে অপারেটরগুলোকে চিঠিও দেওয়া হয়।
নির্দেশনা মেনে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক। তবে অন্য তিনটি অর্থাৎ গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু বলা হয়নি।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) এক বিবৃতিতে বলে, “গত ১৫ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশাবলী অনুযায়ী নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অপেরেটররা তাদের ইন্টারনেট প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও আপডেট করে। দুর্ভাগ্যবশত এর মাত্র ১৫ দিন পরে আবারও প্রোডাক্ট পোর্টফলিও পরিবর্তন করতে নতুন নির্দেশনাবলী দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা ইতোমধ্যেই এই জটিল পোর্টফোলিও পরিবর্তন করেছি।”
নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি বাংলাদেশির জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও আশার কথা বলা হয় এই বিবৃতিতে।
ইন্টারনেটের দাম কমানোর নির্দেশনা ও অপারেটরগুলোর অবস্থান নিয়ে যে ‘ধুম্রজাল’ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তা, অ্যামটব ও বিটিআরসির কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না।
গত ১৫ অক্টোবর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের তিন ধরনের প্যাকেজ কার্যকর হয়। ওইদিন থেকে ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ বাতিল করে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ৭ ও ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড মেয়াদের প্যাকেজ কিনতে পারছেন গ্রাহকরা। অপারেটরদের প্রবল আপত্তির মুখেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি।