পরিমণি। বর্তমান সময়ে খুবই আলোচিত বাংলাদেশের রুপালি জগতের এই নায়িকা। হাস্যময়ী গ্লামারগার্ল এই অভিনেত্রীকে খুব শিঘ্রই ভিন্নধর্মী বিপ্লবী এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। ‘প্রীতিলতা’ নামে ওই চলচ্চিত্রে ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেরের নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন ঢালিউডের এই অভিনেত্রী।
ইংরেজ শাসনামলে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী নারী যোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী নারী শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদের ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই ও তাদের হাতে ধরা পড়ার আগে সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যাসহ তার সংগ্রামী জীবনকে ঘিরে তৈরি এই চলচ্চিত্রটির একটি শ্যুটিংপর্ব গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে।
গোলাম রাব্বানির কাহিনী ও চিত্রনাট্যে ‘প্রীতিলতা’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন পরিচালক রশিদ পলাশ।
গত সোমবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর ক্যানভাস ষ্টুডিওতে এই চলচ্চিত্রে পরিমণির একটি ‘লুক টেষ্ট’ আয়োজন করে প্রযোজক, পরিচালকসহ ছবি পরিচালনা সংশ্লিষ্টদের একটি দল।
পরিমণি তার ওই বিপ্লবীবেশি ছবিটি তার ভ্যারিফাইড ফেসবুকের ফ্যান পেইজে পোস্ট করেন এবং ছবির ক্যাপশনে লিখেন ‘ফাইটার’।
পরে বাংলাদেশের এই প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী গণমাধ্যমে বলেন, ছবির পরিচালনায় সংশ্লিষ্টরা তার মুখের যে লুকটি চেয়েছিলেন তা পাওয়ায় খুব স্বস্তি অনুভব করছি। পরিমণি বলেন, ‘নতুন লুকে আমি নিজেকে চিনতে পারিনি। শট নেওয়ার আগে একটু নার্ভাস ছিলাম। তারপর মনে হলো আমার মধ্যে আমি বিপ্লবী চরিত্র পেয়ে গেছি। আমি সেই অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারছি না। মনে হচ্ছিল প্রীতিলতার আত্মা যেনো আমার মধ্যে ভর করেছে।’
বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে ১৯১১ সালের ৫ মে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদ জন্মগ্রহণ করেন।১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কয়েকজন বিপ্লবীকে নিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ব্রিটিশদের ইউরোপীয় ক্লাব হামলার নেতৃত্ব দেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। এক পর্যায়ে ক্লাবে থাকা একজন সেনা কর্মকর্তার রিভলবারের গুলিতে প্রীতিলতা আহত হন। প্রীতিলতার নির্দেশে হামলা শেষ হলে বিপ্লবী দলটির সাথে তিনি কিছুদূর এগিয়ে আসেন। তবে আর চলতে পারছেন না। ইংরেজদের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রীতিলতা পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।