লাকী আখান্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২১, ২০২১, ০১:০০ পিএম

লাকী আখান্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার, গায়ক এবং সংগীত পরিচালক লাকী আখান্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সাথে লড়াই করে অবশেষে ২০১৭ সালে ২১ এপ্রিল না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। দীর্ঘ সংগীত জীবনে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন লাকী আখান্দ।

১৯৫৬ সালে ১৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন লাকী আখান্দ। মাত্র ৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সংগীতে নিয়েছেন হাতেখড়ি। লাকী আখান্দ ১৯৬৩-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশু শিল্পী হিসেবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এরপর মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (সংগীত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গুণী এই সংগীতশিল্পী কখনও নিজের কন্ঠ দিয়ে কখনো আবার সুর দিয়ে মন জয় জয় করেছেন শ্রোতাদের। তার নিজের গাওয়া গানগুলোর মধ্যে উল্লেখ করা যায় ‘এই নীল মনিহার’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘হৃদয় আমার’ গানগুলোর নাম। এছাড়া অন্যান্য শিল্পীর গান রচনা ও সংগীতায়োজন করেছেন ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ (কুমার বিশ্বজিৎ), ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’ (সামিনা চৌধুরী), ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ (হ্যাপী আখন্দ), ‘কে বাঁশি বাজায় রে’ (হ্যাপী আখন্দ), ‘কী করে বললে তুমি’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।

লাকী আখান্দের প্রথম সলো অ্যালবাম ‘লাকী আখান্দ’। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে এ অ্যালবাম প্রকাশ পায়। তিনি ব্যান্ড দল ‘হ্যাপি টাচ’ এর সদস্য। তার ভাই অকাল প্রয়াত হ্যাপি আখান্দ ছিলেন গানের আরেক বিস্ময় পুরুষ। এছাড়াও লাকী আখান্দ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন।

লাকী আখান্দ দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যানসারে ভুগছিলেন। ২০১৭ সালের এইদিনে তিনি নিজের আর্মানিটোলার বাসাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করলে সকলকে শোকে ভাসিয়ে বিদায় নেন তিনি।

Link copied!