এশিয়া কাপ

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ০৪:২১ এএম

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

স্কুপ করছেন রিজওয়ান। সেদিকে তাকিয়ে দেখছেন মুশফিক ছবি : এসিসি

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল পাকিস্তান। সাকিবদের পরের দুটি ম্যাচ শ্রীলংকা ও ভারতের বিপক্ষে। 

আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে পাকিস্তান ৩৯.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত করে (১৯৪/৩)। রিজওয়ান ৬৩ ও আগা সালমান ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচসেরা হন ১৯ রানে ৪ উইকেট শিকারী হারিস রৌউফ।  

এর আগে ওপেনার ইমাম উল হক সর্বোচ্চ ৭৮ রান করে আউট হন মিরাজের বলে। এছাড়া ফখর জামান ২০ ও বাবর আজম ১৭ রানে আউট হলেও সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। 

কলম্বোতে ৯ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের পরের ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শ্রীলংকার। এশিয়া কাপের প্রথম পর্বে শ্রীলংকার কাছে বাংলাদেশ হেরেছিল ৮৯ রানে। 

পাকিস্তানের দুই পেসার হারিস রৌউফ ও নাসিম শাহর  বোলিং তোপে প্রথমে ব্যাট করে ৩৮. ৪ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৫৩ ও মুশফিকুর রহিম ৬৪ রান করেন। রউফ ৪টি ও নাসিম ৩ উইকেট নেন। জবাবে ৬৩ বল বাকি রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টানা তৃতীয় ম্যাচে  মত টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। আগের ম্যাচ থেকে ১টি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। ইনজুরিতে পড়া নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে একাদশে নেয়া হয় লিটন দাসকে।

পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম উল হক। চতুর্থ ওভারে শরিফুলের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন জামান। কিন্তু সেটি লুফে নিতে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি নাইম। সপ্তম ওভারে তাসকিনের বলে ৩টি চার আদায় করে নেন ইমাম।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শরিফুল। জামানকে ২০ রানে লেগ বিফোর আউট করেন তিনি। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেনি জামান। ইমামের সাথে ৫৫ বলে ৩৫ রানের সূচনা করেন জামান।
দ্বিতীয় উইকেটে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন ইমাম ও অধিনায়ক বাবর। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন  তারা। এসময় দু’টি রিভিউ হারিয়ে হতাশ বাংলাদেশকে উইকেট শিকারের আনন্দে মাতান তাসকিন। ১৬তম ওভারে বাবরকে বোল্ড আউট করেন তাসকিন। ২২ বলে ১৭ রান করেন বাবর। ইমামের সাথে ৩৮ বলে ৩৯ রান যোগ করেন  বাবর।
দলীয় ৭৪ রানে বাবরের বিদায়ে ক্রিজে ইমামের সঙ্গী হন রিজওয়ান। ১৯তম ওভারে মিরাজের বলে লেগ বিফোর আউট আউট থেকে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ইমাম। ২৩তম ওভারে পাকিস্তানের রান ১শ স্পর্শ করে। ২৫তম ওভারে মিরাজকে ছক্কা মেরে ওয়ানডেতে ১৯তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন ইমাম।
ইমাম ও রিজওয়ানের জুটি ভাঙ্গতে যখন ব্যর্থ সতীর্থরা, তখন ২৬তম ওভারে প্রথমবারের মত বোলিংয়ে আসেন সাকিব। প্রথম ৩ ওভারে ১৭ রান দেন তিনি। তবে নিজের অষ্টম ওভারে ইমামকে বোল্ড করেন মিরাজ। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮৪ বলে ৭৮ রান করেন ইমাম। তৃতীয় উইকেটে ১০৪ বল খেলে ৮৫ রান যোগ করেন ইমাম ও রিজওয়ান।   
ইমাম যখন ফিরেন তখন পাকিস্তানের জয়ের জন্য ৩৫ রান দরকার ছিলো। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে দলের প্রয়োজন মিটিয়েছেন রিজওয়ান ও আগা সালমান। ওয়ানডেতে ১১তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ৭৯ বল খেলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। ১২ রনে অপরাজিত থাকেন সালমান। বাংলাদেশের তাসকিন, শরিফুল ও মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।

Link copied!