বছরে দুবার আগে,তবে ভক্তদের ভাগ্য ভালো হলে আরও বেশি হয়। তবে একটা ম্যাচ আলাদা একটা ব্রান্ডে পরিণত হয় যেটা অনেক সময় পুরো লীগের চেয়েও উত্তেজনা ছড়ায় সেটা এল ক্লাসিকো। ১৯০২ সালে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার এই দ্বৈরথের মহারণ ফুরোবার নয়। শনিবার দিবগাত রাতে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় আবারও উপভোগ করা যাবে এল ক্লাসিকো। নানা কারনেই এই এল ক্লাসিকো গুরুত্বপূর্ণ দুই দলের জন্যই।
ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে দুই দলই
উভয় দলই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত সপ্তাহে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে, যা তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে। বর্তমানে বার্সেলোনা লা লিগার শীর্ষে অবস্থান করছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে। তাই ফুটবল ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে রাতে এই দুই জায়ান্টের লড়াই দেখার জন্য।
বার্সেলোনা তাদের শেষ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে। কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বার্সা, লা লিগায় প্রথম দশটি ম্যাচের মধ্যে নয়টি জিতে সবার উপরে রয়েছে। অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করে ৫-২ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বার্সেলোনা অনেকটা এগিয়ে থাকলেও, সাম্প্রতিক এল ক্লাসিকো ম্যাচগুলো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কথা বলছে। শেষ চারটি ম্যাচে বার্সেলোনাকে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এবারের লিগে অবশ্য বার্সেলোনার সাম্প্রতিক ফর্ম বলছে যে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভালোভাবেই টিকে থাকবে।
খেলোয়াড়দের গুরুত্বপূর্ণ লড়াই
এই ম্যাচে দুই ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রাফিনহা উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। উভয় খেলোয়াড়ই তাদের সাম্প্রতিক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রয়েছে। মাঝমাঠে পেদ্রির উপস্থিতি বার্সেলোনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বার্সেলোনার মসৃণ পাসিং স্টাইল রিয়ালের মধ্যমাঠকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে, তবে লুকা মদ্রিচের দক্ষতা এবং জুড বেলিংহাম ও ফেডেরিকো ভালভার্দের গতি রিয়ালকে বরাবরের মতোই শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ করে তুলবে।
তবে রিয়াল মাদ্রিদের তুরুপের তাস এম্বাপ্পে গতিতে যে সব নাস্তানুবুদ হতে সময় লাগবে না সেটা বলাই বাহুল্য। সেই সাথে বার্সার তরুন তুর্কি লামিল ইয়ামাল, ওলমো নিজেদের সেরাটা দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। মূলত এই ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে আগামীতে ব্যক্তিগত দ্বৈরথের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাড়ায়।
বড় অনুপস্থিতি
উভয় দলই এই ম্যাচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি নিয়ে মাঠে নামছে। রিয়ালের জন্য গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া এবং উইঙ্গার রদ্রিগো বাইরে থাকছেন, পাশাপাশি দানি কারভাহাল ও ডেভিড আলাবাও খেলতে পারবেন না। বার্সার জন্যও গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন অনুপস্থিত, যার পরিবর্তে ইনাকি পেনা গোলবারে দাঁড়াবেন।
এল ক্লাসিকো সবসময়ই অনিশ্চিত একটি ম্যাচ, এবং তাতে শেষ পর্যন্ত কে জিতবে তা অনুমান করা কঠিন। তবে বার্সেলোনা তাদের বর্তমান ফর্মে কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারে।
তবে মূল খেলার ফলাফলের জন্য ফুটবল ভক্তদের রাতের ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।