প্রথম ম্যাচে উপহার দিয়েছিলেন দারুণ হ্যাটট্রিক। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও জোড়া গোল করলেন রিচার্লিসন। অপরাজিত থেকে টোকিও অলিম্পিকের ফুটবল ইভেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল ব্রাজিল।
সাইতামা স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে গতবারের সোনাজয়ীরা। চুনহা মাথেউসের গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর সৌদি আরবকে সমতায় ফেরান আব্দুলেলাহ আলামরি। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোলে ব্যবধান গড়ে দেন রিচার্লিসন। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল দানি আলভেসের নেতৃত্বাধীন দলটি। অন্যদিকে একই গ্রুপের ম্যাচে মিয়াজি স্টেডিয়ামে জার্মানির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আইভরিকোস্ট।
সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। কর্নার থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত একটি ক্রস নেন ক্লওদিনহো। সেটিকেই অসাধারণ হেডে সৌদি আরবের জালে জড়িয়ে দেন ম্যাথিউস চুনহা। তবে গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ২৭তম মিনিটেই সেই গোল পরিশোধ করে সমতা ফেরায় সৌদি আরব।
ব্রাজিলের ডিফেন্সিভ হাফ থেকে দারুণ এক ক্রস করেন সালমান আল ফারাজ। বক্সের মধ্যে সেই বল মাটিতে পড়ার আগেই দুর্দান্ত হেডে গোল করেন আবদুলেলাহ আল আমরি। প্রথমার্ধে ১-১ গোলে সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় ব্রাজিল। সৌদি আরবকে এবার কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেয় সেলেসাওরা। মুহুর্মুহু আক্রমণ সামলাতে গলদঘর্ম সৌদি ৭৬ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে।
সেট পিস অবস্থান থেকে ব্রুনো গুইমারেসের অ্যাসিস্টে বক্সের মধ্যে একদম গোলরক্ষকের সামনে বল পেয়ে যান রিচার্লিসন। জোড়ালো হেডে গোল তুলে নিতে ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ে আরও এক গোল হজম করে সৌদি। এবারও ব্রাজিলের গোলদাতা সেই রিচার্লিসন। রেইনারের কাছ থেকে বল পেয়ে খুব কাছে থেকে বাঁ পায়ের শটে জাল কাঁপান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ফেবারিট ব্রাজিল।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে আইভরিকোস্টের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বিদায় নিয়েছে জার্মানি। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে বেঞ্জামিন হেনড্রিকসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আইভরিকোস্ট। ছয় মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান এদোয়ার্দ লয়েন। তবে এরপর আর গোলের দেখা পায়নি জার্মানি। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে বিদায়ই নিতে হয়েছে তাদের।