দেশে করোনাভাইরাসের নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্টের (বি.১.৫২৫) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসের সংগ্রহ করা নমুনার সিকোয়েন্সিং করে ৮ জনের মধ্যে নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পেয়েছেন দেশের গবেষকরা।
গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিসএইড) ওয়েবসাইটে আপলোড করা তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
জিসএইডের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশের দুই বিভাগের ৮টি নমুনা পরীক্ষায় এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঢাকার উত্তরা, আজিমপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশাপাশি সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এসব নমুনা ২০২১ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৬ জন এবং নারী দুজন।
জিসএইড এ এসব তথ্য আপলোড করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর), আইডিইএসএইচআই (আইদেশি) এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
প্রসঙ্গত, নাইজেরিয়ার এই ভ্যারিয়েন্টের সর্ব প্রথম উপস্থিতি পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যে। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ নাইজেরিয়ায় এটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে। ২৪ ফেব্রুয়ারির দিকে যুক্তরাজ্যে ৫৬টি নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ডেনমার্কে ১৪ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি নমুনা সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে সাতটি নমুনা পাওয়া যায় সরাসরি নাইজেরিয়া থেকে আসা ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে।