‘আমরা টিকা নিলে সাধারণ জনগণ উৎসাহিত হবে। এ কারণেই জনসচেতনতার জন্য আগেভাগেই টিকা গ্রহণ করছি।’ টিকা নেওয়ার পর দ্য রিপোর্ট এর কাছে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিডফোর্ড) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা নিচ্ছেন বিভিন্ন পেশার লোকজন। লড়াইয়ে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকরাও নিচ্ছেন টিকা। এই কার্যক্রমে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। ঢাকার কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শনকালে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সাধারণ জনগণের উপস্থিতি কম থাকলেও টিকা গ্রহণে চিকিৎসকরা ছিলেন বিপুল আগ্রহী। অথচ স্যার সলিমুল্লাহ মেড্যাকিল কলেজ ও হাসপাতালে (মিডফোর্ড) মোট আটটি বুথে আজ ৪০০ জনকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হলেও বেলা ১১ টা পর্যন্ত সেরকম কেউই আসেননি।
কাজী মোঃ রশীদ-উন-নবী জানালেন, আমি টিকা নিয়ে নিলাম। কোন ধরনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া অনুভব করছি না। প্রথম অবস্থায় সাধারন মানুষজনের মধ্যে কিছুটা সংশয় ও ভয়ভীতি হয়ত কাজ করছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই মানুষের মধ্যে সেই ভীতি কেটে যাবে এবং টিকার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে।
তিনি আরোও যোগ করেন, কয়েকজন টিকা নিলে তাদের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া না দেখা দিলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে। হাসপাতালে প্রথম পর্বের টিকাদানের জন্য মোট ১০ হাজার টিকা মজুদ রয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুটি বুথে দেওয়া হচ্ছে টিকা। সেখানে দেখা গেল বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা টিকা নিলেও সাধারনের উপস্থিতি সেখানেও খুব বেশি নেই।
সকাল ১১.৩০ মিনিটে টিকা নেন ঢামেকের নাক, কান ও গলা বিভাগের সার্জন অধ্যাপক ডাঃ শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি। তিনি জানালেন, টিকা নেওয়ার পর বেশ ভালই আছি। কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমরা চিকিৎসকরা টিকা নিলে সাধারন মানুষজনও উৎসাহিত হবে।
টিকা নিয়েছেন ঢামেকের আন্তঃবিভাগের মেডিসিন অফিসার ডঃ আব্দুল্লাহ আল-ইমরান জানান, টিকা নিয়েছি। এখন পরবর্তী পাশ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য আধঘন্টা অপেক্ষা করছি। টিকায় এখন পর্যন্ত জটিলতা দেখছি না।
টিকা পরবর্তি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ‘রেপিড রেসপোন্স টিম’ রাখা হয়েছে বলে জানান ঢামেকের মেডিসিন বিভাগের অফিসার ডা. তাসমিনা পারভীন।
তিনি বলেন, টিকা গ্রহীতাদের আধা-ঘন্টা পর্যবেক্ষণের জন্য রেখেছি। পরবর্তীতে কোন ধরণের সমস্যা হলে হাসপাতালে এসে রেপিড রেসপন্স টিমের থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন যে কেউ।
নারীও পুরুষ মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১১০ জন ঢামেক থেকে টিকা নিয়েছেন এবং আজকের ৩০০ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তাসমিনা।