দেশে টিকাদান কর্মসূচির শুরুতে বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেটি কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। সরকারের এ শর্ত শিথিলের পর থেকে ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিতে পারছেন।
তবে করোনার টিকা প্রদানের এ বয়সসীমা আপাতত আর কমানো হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান। তিনি বলেছেন, প্রথম সারির যোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে যাদের বয়স চল্লিশের ওপরে তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে। এই বয়সসীমা আর কমানো হবে না।
বুধবার দুপুরে সচিবালয় ক্লিনিকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ টিকা গ্রহণের সময় স্বাস্থ্যসচিব সাংবাদিকদের একথা জানান।
সেসময় স্বাস্থ্য সচিব জানান, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালান ৫০ লাখ ডোজ চলতি মাসের শেষে বা পরের মাসের প্রথম সপ্তাহে আসবে। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮ সপ্তাহ পর আবার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।
তিনি বলেন, আমাদের যে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি আছে তারা সহজে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে এটা এন্টিবডি হতে আমাদের আরেকটু সময় বেশি লাগবে। এর অর্থ হল ৪ সপ্তাহ আগে ছিল এখন আমরা ৮ সপ্তাহ করে দিয়েছি। এতে কিন্তু আমরা বিরাট একটি গ্যাপ পাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রথম সারির যোদ্ধাসহ চল্লিশোর্ধদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা নেওয়ার বয়স এখন আর কমানো হবে না। কারণ আমরা চাচ্ছি একটি সুশৃংখল পরিবেশে, উৎসবমুখর পরিবেশে জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত এটি চলমান রাখতে। সব কিছু সুশৃঙ্খলভাবে করতে অনেক কেন্দ্রে বুথ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।