‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই!’

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২, ২০২১, ০৭:০৪ পিএম

‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই!’

করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই দেশের মেডিকেল কলেজের (এমবিবিএস) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী। শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত।

সেসময় রাজধানীর বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি না মানার ভয়াবহ দৃশ্য। তথাকথিত ‘স্বাস্থ্যবিধি’ যেনো শুধু পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিলো। বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সাথে যাওয়া অভিভাবকদের সুরক্ষা বিধি মানতে দেখা যায়নি।

এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখার কোনও আলামত চোখে পড়েনি। গায়ে গায়ে লেগে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন পরীক্ষার্থীরা। খুব কাছেই ভিড় জমিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিভাবকরাও।

এর আগে করোনা মহামারির উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে আপত্তি তুলেছিলেন অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী। কিন্তু যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূর্বনির্ধারিত সময়ে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

তবে পরীক্ষার সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে তীব্র ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বা সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। মাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করা হলেও সেসব নির্দেশনার দিকে যেনো কারও দৃষ্টিপাত ছিলো না।

পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা দেখতে সরকারের টিম কাজ করবে বলে জানানো হলেও এরকম কোনো উদ্যোগও চোখে পড়েনি। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেককেই দেখা গেছে মাস্ক খুলে বসে থাকতে। কারণ জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন, মাস্ক পরলে তাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

করোনার এ সংক্রমণের সময়ে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত এবং সরকারি নির্দেশনা সঠিক ছিলো না বলে অভিযোগ করেন অনেক সচেতন অভিভাবক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সাথে আসা এক অভিভাবক জানান, ‘একজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজনের বেশি কেউ আসতে পারবেন না, এরকম একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া দরকার ছিল। দেখা যাচ্ছে, মা-বাবা দুজনই এসেছেন। দুই জনই গেট পর্যন্ত সন্তানকে এগিয়ে দিচ্ছেন। ফলে ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।’

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় ও আশপাশের জায়গায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই মানুষের। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অনেক অভিভাবকের চোখে-মুখে দেখা গেছে ভয় ও শঙ্কা। পথে পথে বাসের জন্যও পড়তে হয়েছে তীব্র সংকটে।

Link copied!