'চীনা ঋণের ফাঁদ' শীর্ষক অপপ্রচার পরিত্যাগের এখনই উপযুক্ত সময়

লি জিমিং

এপ্রিল ২১, ২০২২, ১২:৫২ এএম

'চীনা ঋণের ফাঁদ' শীর্ষক অপপ্রচার পরিত্যাগের এখনই উপযুক্ত সময়
কয়েক সপ্তাহ ধরে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপালে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার খবরে গরম স্থানীয় গণমাধ্যম। বাংলাদেশও সেই পথে যাবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। সাধারণত পাবলিক প্যানিকের হাত ধরেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দাঁড় করানো হয়। আশ্চর্যজনকভাবে, আমি দেখতে পাচ্ছি যে কিছু সিনোফোব 'চীনা ঋণের ফাঁদ' নামক ভণ্ডামি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু করেছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গত মাসে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব সংলাপের সময় "উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য কোন নির্দিষ্ট দেশের উপর নির্ভরশীলতার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন"। অনেক স্থানীয় গণমাধ্যম এটির পাঠোদ্ধার করে এভাবে যে, মার্কিন পক্ষ "চীন থেকে দূরে সরে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশকে ফের পরামর্শ দিয়েছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সমর্থন লাভের আশ্বাস দিয়েছে"। যা ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিঃ জয়শঙ্করের দেওয়া বিবৃতিকেই প্রতিধ্বনিত করেছে। তিনি "বাংলাদেশকে চীন থেকে দূরে সরে কোয়াড ঘনিষ্ঠ হতে পরামর্শ দেন"।

নম্রতা এবং অন্তর্ভুক্তিতে সমৃদ্ধ এক সভ্যতা হিসেবে চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সব ধরনের সমালোচনাকে স্বাগত জানায় - যতক্ষণ পর্যন্ত সেগুলো অকাট্য এবং যুক্তিযুক্ত হয়। চীনের উপর 'বিশ্ব পুলিশ' এবং এর 'অধীনস্থ'দের চাপিয়ে দেওয়া 'ঋণের ফাঁদ'কে মেনে নেওয়ার আগে, অভিযোগটি সত্যতার পরীক্ষায় পাশ করে কিনা তা জানা দরকার।

পরিসংখ্যান চীনের ঋণের ফাঁদ- বক্তব্যকে খণ্ডন করে: বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ ত্রৈমাসিক ঋণ বুলেটিন অনুসারে, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত দেশের ঋণের পরিমাণ ছিল জিডিপির ৩৮ শতাংশ। মোট ঋণের ৩৭ শতাংশ বিদেশ থেকে নেওয়া। বৈদেশিক ঋণের মাত্র ৭ শতাংশ চীন থেকে নেওয়া যা সামগ্রিক ঋণের ২.৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির ০.৯৮ শতাংশ। স্পষ্টতই, এই তথ্যই বলে দিচ্ছে যে, চীনের কাছ থেকে নেওয়া বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ "ঋণের ফাঁদ" এ পড়ার মতো অবস্থা থেকে বহুদূর অবস্থান করছে।

তা সত্ত্বেও, 'ঋণের ফাঁদে' ফেলার জন্য যদি কাউকে দায়ী করতেই হয়, তাহলে যারা ঋণদাতার র্যা ঙ্কিংয়ে চীনের চেয়ে এগিয়ে তাদেরই প্রথমে সন্দেহ করা উচিত। প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর মতো অনেক বড় বহুপাক্ষিক ঋণদাতা ছাড়াও, বাংলাদেশে বাহ্যিক অর্থায়নের শীর্ষ-দ্বিপাক্ষিক উৎস হলো জাপান (বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের ১৯ শতাংশ, চীনের চেয়ে তিনগুণ বেশি)। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, 'একটি নির্দিষ্ট দেশের' বিরুদ্ধে মিসেস নুল্যান্ডের অভিযোগের জবাব দেওয়ার সময় উল্লেখ করেন যে "বাংলাদেশ তার বেশিরভাগ প্রকল্পের অর্থায়ন বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি জাপান থেকেও পায়"। মিসেস নুল্যান্ড স্পষ্টতই বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার জন্য জাপানকে চ্যালেঞ্জ করছিলেন না, সম্ভবত এই কারণে যে জাপান কোয়াডে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্র।

ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে, পুনর্ব্যক্ত করা প্রয়োজন যে চীন বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রাখার সময় দেশটিকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্য যে কারো সাথে যৌথভাবে কাজ করার জন্য উন্মুক্ত এবং প্রস্তুত। যাই হোক, তথ্য বলছে, যারা চীনের দিকে আঙুল তোলেন তারা বাংলাদেশে সেভাবে বিনিয়োগ করেন না। উপরের তালিকা থেকে, আমরা আরও দেখতে পাই যে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণে ভারতের অবদান ২ শতাংশ, আর যুক্তরাষ্ট্র 'অন্যদের' মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখে। একাধিক অনুষ্ঠানে চীনের পক্ষে কথা বলা ড. মোমেন যেমন মিঃ জয়শঙ্করকে বলেছিলেন যে "যদিও ভারত লাইন অফ ক্রেডিটের (এলওসি) প্রস্তাব দিয়েছে এবং জাপানও অবকাঠামোগত অর্থায়নে সহায়তা করেছে, তবু ঋণ আসার পরিমাণ যখন কমে যাচ্ছে তখন চীনই আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী প্রস্তাবসহ টাকার ঝুড়ি নিয়ে এগিয়ে আসছে৷" বাস্তবতাও তাই।

চীনা অর্থায়ন— বিষ নয়, নিরাময়: বাংলাদেশের জন্য, চীনা অর্থায়ন বাংলাদেশকে অতুলনীয় সুবিধা প্রদর্শন করে।

প্রথমত, চীনকে বাংলাদেশের জরুরি প্রয়োজনে পাওয়া যায়। পদ্মা বহুমুখী সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিরোধ কি সহজে ভোলা যায়! বিশ্বব্যাংক চলে যাওয়ার পর সেতুটির রেল সংযোগে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগের পরিপূরক হিসেবে ঠিকাদার ও অর্থ নিয়ে এসেছিল চীন। চীন বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি, যেমনঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রিড, পরিবহন সংযোগ এবং পরিবেশগত সুরক্ষার মতো দিকে নজর দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি সমাপ্ত পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় একটি ল্যান্ডমার্ক স্থাপন করেছে, যার ফলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে শতভাগ বিদ্যুতায়ন অর্জন করেছে।

দ্বিতীয়ত, চীনা প্রস্তাবগুলো সম্মত হওয়ার মতো শর্তের সাথে প্রতিযোগিতামূলক। চীনা তহবিলের সিংহভাগই দীর্ঘমেয়াদী এবং 'সফট লোন' ছাড়ের আকারে আসে। দ্য ডিপ্লোম্যাটের মতে, এই ঋণের গড় সুদের হার প্রায় ১.২৩ শতাংশ, এবং বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের জন্য গড়ে ৩১ বছর সময় রয়েছে, আট বছরের গড় 'গ্রেস পিরিয়ড' রয়েছে। ধৈর্যশীল বিনিয়োগকারী চীন স্বল্পমেয়াদী আর্থিক লাভের চেষ্টা করে না, তবে এটা বিশ্বাস করে যে সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদে উদার আর্থ-সামাজিক পুরস্কার দেবে, যা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এবং এর বাইরেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।

তৃতীয়ত, চীনা অর্থায়নে কোনো অযৌক্তিক শর্ত নেই। কিছু পশ্চিমা ঋণদাতা অর্থায়নের প্রস্তাবের সাথে সবসময়ই রাজনৈতিক এবং/অথবা অর্থনৈতিক সংস্কারের মতো পূর্বশর্ত নিয়ে আসে, যা সংশ্লিষ্ট দেশের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করে। এমন তিক্ততার স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ড. মোমেন দুঃখ পেয়ে বলেছিলেন, "উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে আমাদের আরও তহবিল প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত সেগুলোতে অনেক অপ্রীতিকর শর্ত থাকে। যার ফলে বিষয়গুলো খুব কঠিন হয়ে যায়।" যাই হোক, চীনা ঋণের ক্ষেত্রে এটা কখনোই হয় না। বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং স্বচ্ছ বিদেশী বিনিয়োগের আগ্রহকে ধারণ করে। বাংলাদেশের জন্য, চীন সবসময় ন্যায্য অর্থায়নের জন্য কৌশলগত বিকল্প দিয়ে থাকে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, চীনা অর্থায়নের প্রকল্পগুলো সর্বদা চুক্তি অনুযায়ী লেগে থাকে। বিশ্বব্যাপী মহামারী এবং অস্বস্তিকর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও, সাহসী এবং সৎ চীনা নির্মাতারা এগিয়ে চলেছেন। পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে এবং বাংলাদেশের ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করেছে। সামনের দিনগুলোতে, অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (চীনা সহায়তায় অর্থায়ন করা), কর্ণফুলী টানেল, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্প, এস আলম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং দাশেরকান্দি সুয়েজ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মতো মেগা প্রকল্পগুলোও শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বছরের শেষের দিকে। অন্যান্য প্রকল্পে সময় এবং ব্যয় বৃদ্ধির সাথে তুলনা করলে, চীনা কোম্পানিগুলোর অর্থায়নে নির্মিত প্রকল্পগুলো আকর্ষণীয় সময়ানুবর্তিতা এবং ব্যয় সাশ্রয়ের দিক বিবেচনায় আলাদা।

বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ চীনের সততাকে পুরোপুরি স্বীকার করে জানতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন,"পদ্মা সেতুসহ অনেক বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে চীন কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পাশে রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু।" জনৈক বাংলাদেশী নেটিজেন আমার দূতাবাসের ফেসবুক পেজেও মন্তব্য করেছেন যে, "চীন এমন এক সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করেছে যখন বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। চীন আমাদের প্রকৃত বন্ধু"।

চীনা ঋণ শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক উত্তেজনার কারণ নয়: কিছু পর্যবেক্ষক শ্রীলঙ্কায় বর্তমান অর্থনৈতিক উত্তেজনার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে আগ্রহী। এটা উল্লেখ করা দরকার যে শ্রীলঙ্কা যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছে তা মূলত ২০১৯ সালে ইস্টার বোমা হামলার পর পর্যটন খাতে রাজস্বের তীব্র পতন থেকে এসেছে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে রেমিট্যান্স সঙ্কুচিত হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে অস্থিরতার কারণে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে এবং কিছু দেশ কর্তৃক একতরফা নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৈদেশিক ঋণের ইস্যু শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সমস্যার কারণ হতে পারে, তবুও চীনকে বলির পাঁঠা বানানো অযৌক্তিক। পরিসংখ্যান বলছে, শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ একক ঋণদাতা হলো এডিবি। জাপান ও চীনের অবদান যথাক্রমে ১০ শতাংশ। এছাড়াও উল্লেখ্য যে, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই মার্কিন ডলারে গণনা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যালেন্স শিট সঙ্কুচিত করার ইঙ্গিত দিলে, মার্কিন ডলার দ্রুত তুলে নেওয়া হয় যা শ্রীলঙ্কান রূপির অবমূল্যায়নকে ত্বরান্বিত করে এবং পরবর্তীতে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আরও ধ্বংস করে।

ভারত মহাসাগর অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারিত্বকে আহ্বান জানায়, একচেটিয়া আধিপত্যকে নয়: এই ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউস প্রকাশিত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে, যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে যে তারা এই অঞ্চলে চীনকে একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে। ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যকে বিচ্ছিন্ন করে এবং বাদ দিয়ে, ওয়াশিংটন একটি ''অবাধ ও মুক্ত' ইন্দো-প্যাসিফিক গঠনে নিজের বক্তব্যকে অসম্মান জানায়।

আমরা তাদের যা করতে দেখি তা পশ্চিমা আধিপত্যের 'একনায়কতান্ত্রিক' পদ্ধতিতে 'গণতান্ত্রিক' আদর্শ প্রচার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশের প্রতি আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ডের নির্লজ্জ এবং ঘৃণ্য সতর্কবার্তা যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ, আধিপত্য এবং ক্ষমতার রাজনীতির অন্তর্নিহিত মানসিকতাকে আরও মেলে ধরে।

আমরা সকলেই এখন একটি বহু-মেরুর বিশ্বব্যবস্থায় বাস করছি যেখানে সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলো একে অপরের সমান। ভারত মহাসাগর যথেষ্ট বিস্তৃত এবং এর উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলো এতোটাই গতিশীল যে সমস্ত আগ্রহী উন্নয়ন অংশীদারদের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে 'উইন-উইন' ফলাফল অর্জনের জন্য এই অঞ্চলে ভালভাবে স্থান দেওয়া যেতে পারে।

'চীনা ঋণের ফাঁদ' কথাটি ভণ্ডামি ছাড়া কারোই উপকারে আসে না। এটিতে রঙ মাখিয়ে একে অস্ত্র বানানোর নোংরা খেলা পরিত্যাগ করার এখনই সময়। এ ব্যাপারে আমি বাংলাদেশের "কোন একক দেশের আধিপত্যের পরিবর্তে একটি অবাধ, মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত মহাসাগর" এর স্বপ্নকে সালাম জানাই।

বাংলাদেশের কন্ঠ শোনা যাবে।

Link copied!