ভারতের পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক কেলেঙ্কারির মূল হোতা হাজার কোটি টাকা পাচারকারী প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) এখনই ফিরে পাওয়ার আশা করছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।ভারতে বিচার শেষে বাংলাদেশের এই আসামিকে ফেরত পাওয়া যেতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় পি কে হালদারকে ফেরত পাওয়া যাবে কিনা -এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সেট প্রসেডিওর আছে, এসব ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতি আছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব। প্রথমে ভারত সরকার আমাদের জানাবে, এই লোক গ্রেফতার হয়েছে। হয়ত তাদের শাস্তি-টাস্তি দেবে। হয়ত আমাদের বলবে শাস্তির মেয়াদ বাংলাদেশে এসে কমপ্লিট করবে। এটা আমরা অন্যান্য দেশেরটাতে করি, তারাও আমাদের সাথে করবে।”
আশাবাদ ব্যক্ত করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “আমার ধারণা, আমাদের সাথে ভারতের যে সোনালী অধ্যায়, তাতে অবশ্যই আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যা করতে চাই, তারা আমাদের কথা শুনবেন। সে অনুযায়ী কাজ হবে। হয়ত তার কিছু বিচার হবে। তারপরে হয়ত আমাদের দেবে।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।