নভেম্বর ২০, ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে সেনাসদস্যদের পাঠানো হয। সংঘর্ষে জড়ানো কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করেন তারা। এছাড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের একটি বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে সিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে আজ সকালে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা গিয়ে সিটি কলেজে ভাঙচুর চালায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। এরপরই শুরু হয় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ।
উভয় কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন। এক দল অপর দলকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
সংঘর্ষের কারণে সায়েন্স ল্যাবের আশপাশের সড়কগুলোতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তবে এখনো উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে সিটি কলেজের ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে ২০ দিন বন্ধ রাখার পর ১৯ নভেম্বর কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়। গত ১৬ নভেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: এমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, যা সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা
এতে বলা হয়, আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে কলেজ খোলা হবে। প্রথমদিন একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে। তবে প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস টেস্ট হবে না। এর পরদিন ২০ নভেম্বর দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। তবে দ্বাদশ শ্রেণিরও প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে না। আর স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ২১ নভেম্বর থেকে।
২৮ অক্টোবর তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ মোট ৭ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তারা অভিযোগ করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক ও উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান নানা স্বেচ্ছাচারিতা, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। সেজন্য এসব বিষয়ে যৌক্তিক সমাধান চেয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।