করোনাভাইরাসের টিকার জন্য এখন ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরাও নিবন্ধন করতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। যেসব শিশুর শারীরিক অসুস্থতা তাকে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মুখে ফেলে, তাদের টিকা দিতে হবে। অথবা শিশু যদি এমন কারো সংস্পর্শে থাকে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদেরকে টিকার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে বাড়িতে তাদের ১০ দিন আইসোলেশনে রাখতে হবে।
যদিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর হার খুবই কম। এক গবেষনায় দেখা যায় এক হাজারের মধ্যে এক জন শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়। তবে শিশুদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। যেমনঃ
আপনার শিশুর যদি ভ্যাকসিন তৈরির কোন উপকরনে এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে, তাহলে সে এই টিকা নিতে পারবে না। শিশুর যদি এলার্জি থাকে তাহলে তাকে মর্ডানা বা ফাইজারার অথবা বায়োএনটেক এর টিকা দেয়া যাবে না। অবশ্যই শিশুকে টিকা দেয়ার আগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে নিতে হবে।
আর আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন, উপসর্গ থাকলেও আপনার সন্তানকে টিকা দেবেননা, তাহলে তার জীবন ঝুঁকির মুখেও পরে যেতে পারে। কারণ, শিশুদের মধ্যে করোনার উপসর্গগুলো খুবই সামান্য প্রকাশ পায়। তাই কোনও ভাবে তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে অবশ্যই তাদেরকে আইসোলেসনে রাখতে হবে।