বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবারও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশে এমন কোনো প্রযুক্তি নেই যার মাধ্যমে চিকিৎসকরা লিভার সিরোসিসের পুরোপুরি চিকিৎসা করতে সক্ষম হন। তারা বলেছেন, এটা এক দিনের বিষয় নয়, দীর্ঘ দিন ধরে এই রোগ হয়েছে। দুর্ভাগ্য কারাগারে এবং হাসপাতালে তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তিনি আবারও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছেন, আবারও তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা খুব পরিষ্কার করে বলেছেন খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষা করার জন্য তাকে অতি দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন। সরকার প্রথম থেকেই এই বিষয়টাতে পুরোপুরি নেতিবাচক অবস্থান নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন না। আপনাদের মনে থাকার কথা, অত্যন্ত সুস্থ অবস্থায় হেঁটে তিনি (খালেদা জিয়া) কারাগারে গিয়েছিলেন।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “খালেদা জিয়া যখন কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন, তখন তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বারবার বলার পরে চিকিৎসার জন্য বোর্ড গঠন করা হয়। সেই বোর্ডও খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। পরে ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা যখন সেখানে যান এবং তাদের সুপারিশক্রমে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনা হয়। যতক্ষণে হাসপাতালে আনা হয়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।”
ফখরুল বলেন, “খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। তিনি সুস্থ না হলে আমরা সুস্থ হব না। সরকারের কাছে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করুন।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে পাসপোর্ট দিয়ে খালেদাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, কোনো অঘটন ঘটলে এর সমস্ত দায়দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।”
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি মো. সেলিম ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা কাদের গণি চৌধুরী, মো. শামীমুর রহমানসহ অনেকে।