রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে আর কোনো নির্মাণকাজ হবে না। জায়গাটি যেভাবে ব্যবহার হতো সেভাবেই ব্যবহার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “২০১৭ সালে আমরা ওই জায়গাটির জন্য এপ্লাই (আবেদন) করেছি। খোঁজ নিয়ে দেখলাম ওই এলাকায় খেলার জায়গাই নেই। প্রধানমন্ত্রীও পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু খালি জায়গা নেই, বিনোদনের কিছু নেই সেজন্য তিনি বলেছেন পুলিশের জমি সেভাবে থাকুক। কোনো কনস্ট্রাকশন যেন না হয়। যেভাবে চলছে চলতে থাকুক।”
কলাবাগান আবাসিক এলাকায় (পান্থপথের দক্ষিণ পাশে) তেঁতুল তলায় শিশু-কিশোররা যেমন খেলত, তেমনি নানা সামাজিক অনুষ্ঠানও চলে আসছিল। স্থানীয়রা একে তেঁতুল তলা মাঠ হিসেবেই চেনে।
মাঠটি পুলিশ কলাবাগান থানা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ নিলে তার প্রতিবাদে নামে ওই এলাকার বাসিন্দারা, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন উদীচীর কর্মী সৈয়দা রত্না।
গত রোববার পুলিশ ওই মাঠে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করলে রত্না তার তরুণ ছেলেকে নিয়ে সেখানে গিয়ে ফেইসবুক লাইভ শুরু করলে তাদের ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অনলাইনে-অফলাইনে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ১৩ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।
রত্নার মুক্তির দাবিতে সেদিন তেঁতুল তলায় যাওয়া খুশি কবির, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থপতি ইকবাল হাবিব ও সঙ্গীতা ইমাম মঙ্গলবার সচিবালয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।
মন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে খুশি কবির সাংবাদিকদের বলেন, “মন্ত্রীকে বলেছি নির্মাণকাজ বন্ধ করতে। তিনি পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি বলবেন বলে জানিয়েছেন।”