মে ২৬, ২০২১, ০১:১৫ পিএম
ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকার করে না এবং দেশটিতে কোনো বাংলাদেশি গেলে তাকে শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২৬মে) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সালেহ ওয়াই রামাদানের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত গাজার জনগণের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ লেখা বাদ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা সব সময় প্যালেস্টাইন জনগণের পক্ষে আছি। ইসরায়েলকে আমরা স্বীকৃতি দিইনি এবং দেওয়ার কোনও ইচ্ছা আমাদের নেই। কয়েক মাস আগে আমাদের পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল বাদে’ এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কারণে এবং এর সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরায়েল সফর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই নীতি অব্যাহত আছে। কোনও বাংলাদেশি যদি ইসরায়েল সফর করেন তবে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’
উল্লেখ্য,সম্প্রতি বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ লেখা হয়েছে। এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ অনুপস্থিত।
পাসপোর্টে এই সংশোধনী আনায় ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রামাদান সম্প্রতি এ ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে। মঙ্গলবার (২৫ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রামাদানের ওই ক্ষোভের জবাবে বলেন, ‘বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ নেবে। অন্য দেশ কী বললো, তা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।’
মঙ্গলবার তিনি আরও বলেন, ‘কোন দেশের রাষ্ট্রদূত কী বললেন না বললেন দিজ ইজ ইরেলিভেন্ট টু মি। উই মেনটেইন আওয়ার ফরেন পলিসি। কে কী বললো তাতে তো আমরা ঝামেলায় পড়তাম। আমরা সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা কী করি না করি আমরা ডিসাইড করবো। অন্য কে কী বললো ইট ইজ টোটালি ইরেলিভেন্ট।’