দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে ৫২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় কয়লা খনির উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করার তিন দিন পরই খনি কর্তৃপক্ষএ সিদ্ধান্ত নিল।
শনিবার বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়া এবং উত্তরাঞ্চলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়। তবে কর্তৃপক্ষ আশা করছিল, প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত বুধবার খনির নতুন ফেজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরুর ফলে ওই শঙ্কা কাটিয়ে উঠা যাবে। শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আবারও সেই শঙ্কা তৈরি হলো।
খনি সূত্র জানায়, গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হলে, ওই কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজ শেষ করে আগস্টের মাঝামাঝি খনির নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই গত বুধবার সকালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কয়লা উত্তোলন কাজের উদ্বোধন করেন।