সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালে কুমিল্লার একটি মন্দিরের পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখাকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন স্থানে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিচা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার(২৩ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশন আয়োজিত নবাগত সাব-রেজিস্ট্রারদের বরণ এবং রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
কুমিল্লার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দিয়ে মামলার বিচার করা যাবে কিনা- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ (এভিডেন্স) সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার একটা ধারা আছে, সেই ধারায় এটা গ্রহণ করতে কোনো অসুবিধা হবে না। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে এবং বিচার হবে।’
নাসিরনগরের যে ঘটনা সেটার তদন্ত সম্ভবত এখনও শেষ হয়নি জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত শেষ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু আদালতের বিচারিক এখতিয়ার হয় না। আদালতের হয়তো অনেকগুলো ইন্টারিম অর্ডার দেওয়ার ক্ষমতা থাকে, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ প্রতিবেদন না আসে আদালত কিন্তু বিচারিক কাজ শুরু করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সেটার জন্য অপেক্ষা করছি। আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই, যে মুহূর্তে তদন্ত শেষ হয়ে এটা বিচারিক আদালতে আসবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সমাপ্তি করা হবে।’
নারায়ণগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর ওই শহরের বেশ কয়েকটি মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে পরে চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ কয়েকটি জেলায়ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়। নোয়াখালীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এছাড়া চাঁদপুরে মন্দিরে হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কয়েকজন মারা যায়।